দিঘলিয়া উপজেলার বিধবা ও বয়ষ্ক ভাতা সুবিধাভোগিরা মাসের পর মাস টাকা না পেয়ে ছোটাছুটি করছে।
সুবিধাভোগী ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন সুবিধাভোগীরা ব্যংকের মাধ্যমে তাদের সুবিধা পেয়ে আসছিল। চলতি বছর থেকে নগদ হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করার সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে সকল সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্ট নগদে স্থানান্তরিত হয় এবং নগদের লকজন স্ব স্ব সুবিধাভোগীদের স্ব স্ব ইউনিয়নে বসে সুবিধাভোগীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগদের নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর ভুল হওয়ার কারণে অনেক সুবিধাভোগীরা মাসের পর মাস তাঁদের টাকা পাচ্ছেনা। মাসের পর মাস টাকা না পেয়ে সুবিধাভোগীরা দপ্তরে দপ্তরে ধর্ণা দিতে দেখা গেছে। এসব সুবিধাভোগীরা যখন ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পেত তখন তাদের সমস্যা হয়নি। নগদে যাওয়ার পর থেকে সুবিধাভোগীদের সমস্যা অন্ত নেই।দিঘলিয়া উপজেলার ভুক্তভোগী ও বিজ্ঞমহল এপ্রতিবেদককে জানান, এ উপজেলায় শত শত গ্রাহকদের এধরণের সমস্যা হয়েছে। এবং নগদের উপজেলার সমাজ সেবা দপ্তরের অসাবধানতার জন্য সুবিধাভোগীরা এসমস্যায় পড়েছে। কিন্তু সরকারি টাকা চলে যাচ্ছে অন্যের হিসাবে। সে টাকা তুলে আনন্দ করছে। কান্না কাটি করে ফিরছে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা। দিঘলিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের বেলায়ও একই ঘটনা ঘটছে। সেবা দিতে এসে গ্রাহকদের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়ছে গ্রাহকরা। সরকারি টাকা চলে যাচ্ছে অন্যত্র। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান এ প্রতিবেদককে জানান, সুবিধাভোগী ও নগদ কোম্পানীর ভুলের কারণে কিছু সমস্যা হয়েছে। তবে এর সংখ্যা খুবই কম। নগদের লোকজন যখন মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেছে তখন ভুল করেছে। যার কারণে টাকা ভুল নম্বরে চলে গেছে। সুবিধাভোগীর নম্বরে টাকা যাচ্ছেনা। আবার কিছু গ্রাহক তাদের নিজস্ব মোবাইল না থাকার কারণে পরিবারের অন্য সদস্যের মোবাইল নম্বর দিয়েছে।তারা গোপনে টাকা তুলছে।কিন্তু প্রকৃত সুবিধা ভোগীকে জানাচ্ছেনা। আমরা সেগুলো তালিকা করে সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে এ ব্যাপারে বিজ্ঞ মহল বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁরা বলছেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আরো সতর্ক ও সচেতন হওয়া প্রয়োজন ছিল।