রংপুরের পীরগঞ্জে তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষের লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে মহিলাসহ ৭ব্যক্তিকে আহত করেছে। আহতদের মধ্যে ৩জনকে গুরতর অবস্থায় পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় তারা একটি বসতবাড়িও ভাংচুর করে। গত মঙ্গলবার পড়ন্ত বিকেলে উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর মুন্সিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, কাশিমপুর মুন্সিপাড়ার সামছুল ইসলাম (৭৫), রইচ উদ্দিন (৬০) আজিজার রহমান (৫৫), আব্দুল ওয়াহাব (৪৫), আব্দুল মান্নান (৫২), ইউনুস আলী (৬০), শহিদুল ইসলাম (৫০) ও শাহীন মিয়া (৪৯) পীরগঞ্জ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় একটি গভীর নলকূপ দীর্ঘদিন ধরে যৌথভাবে পরিচালনা করে আসছিল। গত ইরি-বোরো মৌসুমে শহিদুল ইসলাম ও শাহীন মিয়া বলপূর্বক প্রভাব খাটিয়ে ওই গভীর নলকূপের পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে অপর অংশীদারদের কোন হিসেব না দিয়েই চলতি আমন মৌসুমেও গভীর নলকূপটি চালু করে। অপর ৬ অংশীদাররা হিসেব চাইলে তাদের নানাভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি- ধমকী দিতে থাকে শহিদুল ও শাহীন। এরই সূত্র ধরে সম্প্রতি ওই ৬ অংশীদার পীরগঞ্জ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করলে সহকারী প্রকৌশলী জামিনুর রহমান,উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম গত মঙ্গলবার বিকেলে তদন্তে যান। তদন্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসার এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত শহিদুল ইসলাম, শাহীন মিয়া ও তার ভাড়াটে লোকজন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আজিজার রহমান (৫৫), রায়হান কবির পলক (১৭), সুমন মিয়া (২৫), সজীব মিয়া (৩৫), সবুজ মিয়া (৩০), লাভলী আক্তার (৫০) ও নুরুন্নাহার লাকী (৩০) আহত হয়। পরে তারা প্রতিপক্ষ অংশীদার ইউনুস আলীর বসতবাড়িও ভাংচুর করে। এ বিষয়ে পীরগঞ্জ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী জামিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। উক্ত গ্রামের আজিজার রহমানের স্ত্রী লাভলী বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। খবর লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।