নাটোরের বড়াইগ্রামে অন্তরঙ্গ মূহুর্তে প্রেমিক আমিন উদ্দিনের (৪০) যৌনাঙ্গ কর্তনের অভিযোগে পরকীয়া প্রেমিকা সাবিনা খাতুন (৩৬) কে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আটক সাবিনা জেলার লালপুর উপজেলার দেলুয়া গ্রামের আজিজ উদ্দিনের মেয়ে এবং আমিন উদ্দিন একই উপজেলার পানসিপাড়া গ্রামের আবদুস সোবহানের ছেলে। এর আগে সোমবার মধ্যরাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার শ্রীখন্ডি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে লালপুর উপজেলার পানসিপাড়া গ্রামের মৃত সায়েতুল্লার ছেলে মাহাবুব আলীর সাথে সাবিনার বিয়ে হয়। দুই বছর আগে মাহবুব সৌদি আরব গেলে সাবিনা আমিন উদ্দিনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানা-জানি হলে একপর্যায়ে মাহবুব তাকে তালাক দেন। এরপর একই উপজেলার দেলুয়া গ্রামের আজাহার উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পুনরায় বিয়ে হয় তার। এ অবস্থায় গত সোমবার সন্ধ্যায় পরকীয়ার টানে সাবিনা বড়াইগ্রামের শ্রীখন্ডি গ্রামে আমিন উদ্দিনের সঙ্গে তার আত্মীয় শফিউল্লার বাড়িতে আসে। এখানে তাদের মধ্যে নিজেদের আভ্যন্তীণ বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হলেও পরে তা মিটে যায়। পরে রাত দেড়টার দিকে অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর সময়ে সাবিনা তার কাছে থাকা ব্লেড দিয়ে আমিনের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেয়। তখন আমিনের আর্তচিৎকারে অন্য ঘর থেকে শফিউল্লাসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। সে সময় সাবিনা কৌশলে বোরখা পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে। একই সঙ্গে আমিনকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
বড়াইগ্রাম থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবদুর রহিম জানান, ভিকটিম আমিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্ত সাবিনাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।