রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৩৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গেল ১১ দিনে বিভাগে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৩ জনে। তবে মঙ্গলবারের তুলনায় মৃত্যু কমলেও শনাক্ত বেড়েছে।
বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরের চারজন ও ঠাকুরগাঁওয়ের দুইজন রয়েছেন।
একই সময়ে বিভাগে ১ হাজার ৪২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে রংপুরের ৮৫ জন, দিনাজপুরের ৫৫ জন, কুড়িগ্রামের ৫৪ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৪৮ জন, পঞ্চগড়ের ৩১ জন, নীলফামারীর ২৯ জন, গাইবান্ধার ২৮ জন ও লালমনিরহাট জেলার ১২ জন রয়েছে। বিভাগে শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
নতুন করে মারা যাওয়া ৬ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৩জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরের ২৯৮ জন, রংপুরের ২৪৬ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ২০৪ জন, নীলফামারীর ৭৬ জন, পঞ্চগড়ের ৬৬ জন, কুড়িগ্রামের ৫৯ জন, লালমনিরহাটের ৫৭ জন ও গাইবান্ধার ৫৭ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৮২ জন।
বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৯ হাজার ৩৯৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ১৩ হাজার ৫০২ জন, রংপুরে ১১ হাজার ২০৬ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ হাজার ৬৫০ জন, গাইবান্ধায় ৪ হাজার ২৫৫ জন, নীলফামারীর ৪ হাজার ৩৬ জন, কুড়িগ্রামে ৪ হাজার ১৩৪ জন, লালমনিরহাটে ২ হাজার ৪৫৯ জন এবং পঞ্চগড়ে ৩ হাজার ১৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৬৩৭ জনে।
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এ ছাড়া সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোয় বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হওয়ায় রংপুর বিভাগের হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির চাপ বেড়েছে। সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য মিলছে না আইসিইউ শয্যা। হাসপাতালগুলোর অক্সিজেন চাহিদাও বেড়েছে। প্রতিদিন করোনার উপসর্গ নিয়ে অন্তত ৮-১০ জনের মৃত্যু হচ্ছে। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের হিসাবে ধরছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার বিকল্প নেই।