হাটহাজারীর ফরহাদাবাদে শিশু কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসনে ( সেফ হোম) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস
উপলক্ষে গত বুধবার প্রতিষ্ঠানের হল রুমে “শিশু অধিকার ও বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানের উপতত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন সমাজকর্মী লাভলী বড়ুয়া,রাজিয়া সুলতানা,ফাহমিদা খাতুন,অফিস সহকারী মোঃ কামরুল হাসান ও সহকারী শিক্ষক মুহাম্মদ হারুনর রশিদ প্রমুখ। প্রতিষ্ঠানের উপতত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আলমগীর তাঁর বক্তব্যে বলেন শিশু অধিকার সুরক্ষায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দূরদশী ও সময় উপযোগী সিদ্ধান্তে স্বাধীনতার পরপরই তিনি প্রনয়ন করেন শিশু আইন, ১৯৭৪। পরবতীতে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ (টঘঈজঈ) প্রনীত হলে শিশু আইন, ১৯৭৪ রহিতপূবর্ক তাঁরই যোগ্য উত্তরসুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনটি যুগোপযুগী করে শিশু আইন, ২০১৩ পুন:প্রনয়ন করেন। এ আইন বাস্তবায়নে আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশুদের (অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত) জন্য ৩টি কিশোর-কিশোরী সংশোধানাগার কেন্দ্র (বতর্মানে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র),আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুদের (অপরাধের শিকার বা সাক্ষী) জন্য ৬টি মহিলা ও শিশু-কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসন (সেফ হোম) এবং পরিত্যক্ত ও দাবীদারহীন ০-৭ বছরের শিশুদের জন্য ৬টি ছোটমণি নিবাস (বেবী হোম) পরিচালিত হচ্ছে। যা শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে।