দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের হাজীগ্রাম বেলেঘাট এলাকার বাসিন্দা মাওঃ আবদুল কাদিরের বিরুদ্ধে বিবাহ রেজিষ্ট্রিতে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, গত ৮/৭/২১ ইং তারিখে সেনহাটি ইউনিয়নের হাজীগ্রাম এলাকার সুরত মোড়লের পুত্র মোঃ রাজিব হোসেনের সাথে নীলিমা সুলতানার বিবাহ নিবন্ধন হয়। যার বহি নং ১৩। তাতে লেখা হয়েছে তেরখাদা থানার লস্করপুর মোকামপুর এলাকার বাসিন্দা জাবের ফারাজির কন্যা নীলিমা সুলতানার জন্ম তাং ০২/০২/২০০২ এবং স্হায়ী ঠিকানা শিববাড়ি, সোনাডাঙ্গা, খুলনা। যা সম্পূর্ণ ভূয়া ঠিকানা। এ বিষয়ে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি ১৮৮৩ এর এ্যাডভোকেট ইন্দ্রজিৎ সোহেল জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ফৌজদারি বিশ্বাস ভঙ্গসহ প্রতারণামুলক দলিল সৃষ্টি করার কারণে ১৮৬০ সনের দন্ড বিধি আইনে ৪৫ নং আইনের ৪০৬,৪২০,৪৬৭,৪৬৮,৪৭১,ও ৩৪ ধারা মোতাবেক অপরাধে একটি লিগ্যাল নোটিশ (১)হাফিজুর রহমান ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, খুলনা সিটি কর্পোরেশন (২) জিএম আবদুল আজিজ, অফিস সহকারী ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, (৩) আবদুল কাদের, বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার হাজীগ্রাম, সেনহাটি,দিঘলিয়া, খুলনা (৪) মোশাররফ হোসেনের নিকট খুলনা জেলা আইনজীবি সমিতির এ্যাডভোকেট সুজিৎ শীল একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে রাজিব হোসেনের পরিবার জানায়, বিবাহ রেজিস্ট্রারের সময়, তাদের সামনে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় কিন্তু পরবর্তীতে রাজিবের পরিবার আবদুল কাদেরের কাছে জানতে পারে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর। শুধু রাজিব ও নীলিমা সুলতানা নয়, এ ধরনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে আবদুল কাদেরের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ মোট ১১টি দপ্তরে উক্ত নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে।