রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক সভাপতি আবু আজগার আহাম্মাদ পিন্টু। বুধবার (১১ আগস্ট) রাতে রংপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেন ত্রিশ বছর ধরে সভাপতির দায়িত্ব থাকা এই সংগঠক।
পিন্টু বলেন, বর্তমানে সমিতিতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেয়ার মতো পরিবেশ নেই। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ নেয়া সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সঙ্গে বয়সের বিবেচনায় শারীরিক অবস্থাও ভালো নয়। একারণে আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এসময় তার বিরুদ্ধে উঠা বিভিন্ন অভিযোগগুলো অসত্য, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে পিন্টু বলেন, ত্রিশ বছর ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। কখনো নিজে থেকে টাকা পয়সার হিসেব করিনি। কোষাধ্যক্ষসহ অফিস সহায়ক ও সংশ্লিষ্ট এসবের দায়িত্বে ছিল। অথচ এখন নির্বাচনকে ঘিরে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন; রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহাবুব রহমান, সহ সভাপতি আব্দুর রহমান মিন্টু, যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী, সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক একেএম মঈনুল হক, কার্যকরী সদস্য জাকির হোসেন, এসএম পিয়াল, সাধারণ সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক মাহাবুবুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, আবেদুল হাফিজ, ফরহাদুজ্জামান ফারুক, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
রংপুরে করোনায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু
এফএনএস (মমিনুল ইসলাম রিপন; রংপুর) : রংপুর বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৪২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গেল ১২ দিনে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৮ জনে। তবে বুধবারের তুলনায় বিভাগে মৃত্যু ও শনাক্ত দুটোই বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরের ছয়জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ছয়জন, দিনাজপুরের দুইজন ও নীলফামারীর একজন রয়েছেন।
একই সময়ে বিভাগে ২ হাজার ২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে রংপুরের ১৬৯ জন, দিনাজপুরের ৬৪ জন, গাইবান্ধার ৫৮ জন, কুড়িগ্রামের ৪১ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৩১ জন, পঞ্চগড়ের ২৬ জন, নীলফামারীর ২৩ জন ও লালমনিরহাট জেলার ১৫ জন রয়েছেন। বিভাগে শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ।
নতুন মারা যাওয়া ১৫ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৮ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরের ৩০০ জন, রংপুরের ২৫২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ২১০ জন, নীলফামারীর ৭৭ জন, পঞ্চগড়ের ৬৬ জন, কুড়িগ্রামের ৫৯ জন, লালমনিরহাটের ৫৭ জন ও গাইবান্ধার ৫৭ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫০১ জন।
বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৯ হাজার ৮২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ১৩ হাজার ৫৬৬ জন, রংপুরে ১১ হাজার ৩৭৫ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ হাজার ৬৮১ জন, গাইবান্ধায় ৪ হাজার ৩১৩ জন, নীলফামারীর ৪ হাজার ৫৯ জন, কুড়িগ্রামে ৪ হাজার ১৭৫ জন, লালমনিরহাটে ২ হাজার ৪৭৪ জন এবং পঞ্চগড়ে ৩ হাজার ১৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ১৩৮ জনে।
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এ ছাড়া সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোয় বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।
এদিকে গণটিকা ক্যাম্পেইনে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণে রংপুরের নির্ধারিত কেন্দ্রগুলো ছাড়াও পাড়া-মহল্লায় ওয়ার্ড পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া মিলছে। প্রতিদিন টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে নারী-পুরুষের উপচে পড়া ভিড় আর লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে।
মর্ডান মোড়ে কমিউনিটি চক্ষু হাসাপতাল পরিদর্শন
কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতাল পরিদর্শনে সন্তষ্ট প্রকাশ করলেন রংপুরের সিভিল সার্জন
এফএনএস (মমিনুল ইসলাম রিপন; রংপুর) : রংপুর জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার হিরম্ব কুমার রায় দুপুরে মর্ডান মোড়ে অবস্থিত প্রতিবন্ধী বান্ধব কমিউনিটি চক্ষু হাসাপতাল পরিদর্শনে আসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি হাসপাতালের প্রতিটি সেক্টর সহ অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শন করে সন্তষ্টি প্রকাশ করেন এবং মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করেন। ইউকেএইড এর অর্থায়নে সাইটসেভার্স এর সহায়তায় কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতাল এর উদ্দ্যেগে প্রতিবন্ধী, আদিবাসী এবং হতদরিদ্র মানুষের বিনামুল্যে ছানি অপারেশকৃত রোগীদের সাথে কথা বলেন। একজন প্রতিবন্ধী রোগীর চিকিৎসা এবং চোখের পাওয়ার পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করেন। ২০১৫ সাল হতে এপর্যন্ত প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৫০০০ জনের ছানি অপারেশন করে লেন্স সংযোজন করা হয়েছে। পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো: ফেরদৌস আলম মুকুল, হাসপাতালের এসিস্টেন্ট এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো: আবু নাসের এবং হাসপাতালের সিনিয়র ম্যানেজার জাফর আহমেদ।