বরগুনার পাথরঘাটায় ১৫ই আগস্টের শোক দিবসের ব্যানার ছিড়ে পুড়ে ফেলার হুমকি দিয়েছেন এমন অভিযোগ উঠেছে মো. পিন্টু হাওলাদার নামের এক জাতীয় পার্টির নেতার বিরুদ্ধে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের বাদুরতলা বাজারে এঘটনা ঘটে। মো. পিন্টু হাওলাদার বাদুরতলা এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকেই সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ১৫ই আগস্টের শোক দিবসের ব্যানার লাগাচ্ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাদুরতলা বাজারে পোস্টার লাগাতে গেলে পিন্টু হাওলাদার নামের জাতীয় পার্টির এক নেতা বঙ্গবন্ধুর ব্যানার লাগাতে নিষেধ করেন, আর যদি লাগানো হয় তবে ছিরে পুরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ব্যানার লাগাতে যাওয়া বেল্লাল হোসেন ও আবুসালেহ জানান, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম সোহেলের দেয়া (১৫ই আগস্ট) শোক দিবসের ব্যানার সদর ইউনিয়নে লাগাতে যাই। এর এক পর্যায় বাদুরতলা বাজারে একটি গাছের সাথে ব্যানার লাগাতে গেলে পিন্টু হাওলাদার নামের এক ব্যাক্তি নিষেধ করেন। তার হুমকি উপেক্ষা করে লাগাতে গেলে ছিড়ে পুড়ে ফেলবেন বলে হুমকি দেয় এবং আমাদের অকথ্য ভাষায় গাল-মন্দ করেন। সোহেল ভাইকে ফোন দিলে তিনি এসে আবার ব্যানার লাগাতে বললে আমরা লাগিয়েছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত পিন্টু হাওলাদার তার সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে জানান, আমি পোস্টার ছিড়ে পুড়ে ফেলার কথা কাউকে বলিনী। আমি শুধু মসজিদের সামনে পোস্টার লাগাতে নিষেধ করেছি। আমি আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি এই দু-দলের সাথেই থাকি।
এব্যাপারে যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম সোহেল কান্নাজড়িত কন্ঠে বলে, আমিতো কোন অন্যায় করিনি শুধু বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে ১৫ই আগস্টের শোক দিবসের ব্যানার লাগাতে গিয়েছি। শোক দিবসের বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেয়া ব্যানার পুরে ফেলবে এই হুমকি দেয়ার সাহস কিভাবে হয় আমার জানা নেই। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন জানান, এ বিষয়টি নিয়ে আমি মিডিয়ার কছে ক্ষমা চাই। মসজিদের সামনে পোস্টার লাগাতে নিষেধ করছে এ কথাটি স্থানীয় লোকদের কাছে শুনেছি। ব্যানার পুড়ে ফেলার হুমকির বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি এরিয়ে যান।