গ্রাহক হয়রানি, সংযোগের জন্য উৎকোচ সেচ সংযোগের জন্য মোটা অঙ্কের ঘুষ বাণিজ্য ও টাকা না দিলে সংযোগের ফাইল আটকসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে বকশীগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ও ডেপুুটি জেনারেল ম্যানেজারের গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে। বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের জানকিপুর দাড়িয়াপাড়া এলাকার মৃত ইসরাফিল মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান এই অভিযোগ করেছেন। বাংলাদেশ পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর তিনি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়,জামালপুর-১ আসনের এমপি,দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান,জামালপুর প্রেসক্লাব ও বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাব বরাবরেও দিয়েছে হাবিবুর রহমান।
অভিযোগে জানা যায়,চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি সেচ সংযোগের আবেদন করেন তিনি হাবিবুর রহমান। আবেদনের প্রেক্ষিতে ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করেন। পরে সংযোগের বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে শহিদুল ইসলাম তাকে ডিজিএমের গাড়ি চালক ইমরানের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে গাড়ি চালক ইমরানের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন হাবিবুর রহমান। গাড়ি চালক ইমরান তাকে বলে সেচ সংযোগ নিতে আগে দুই লাখ টাকা লাগতো এখনতো সব ফ্রি। তবে ২০ হাজার টাকা না দিলে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম ডিজাইন করবেন না। টাকা না দিলে আপনার ডিজাইনও হবেনা সংযোগও পাবেন না। যদি টাকা দেন তাহলে ১ মাসের মধ্যে সংযোগ পাবেন। গাড়ি চালক ইমরান হাবিবুর রহমানকে আরো বলেন,আমি যতটুকু জানি টাকা না দেওয়ায় ৩৯ টি সেচ গ্রাহকের আবেদন ফাইল বন্ধি করে রেখেছেন শহিদুল স্যার। ১২০ টি আবেদন চূড়ান্ত হয়েছে এরমধ্যে ৮০ টির কাজ শেষ পর্যায়ে। টাকা না দেওয়ায় ৩৯ জনের আবেদন আটকে আছে। যদি টাকা দেন তাহলে আপনার আবেদনের ফাইল চুড়ান্ত করে ছেড়ে দেয়া হবে। এতে বিপাকে পড়ে যান হাবিবুর রহমান।
তাই বাধ্য হয়ে বিষয়টির সুষ্ঠ সমাধানের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন হাবিবুর রহমান। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন উধ্বতন কতৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে ডিজিএমের গাড়ি চালকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এই বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বকশীগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। নিয়মনীতি মেনে পর্যায়ক্রমে সকল সংযোগ দেয়া হবে।