দিঘলিয়ার আতাই নদীর ভাঙ্গনের কবলে পরেছে বাতিভিটা গ্রামটি।ইতোমধ্যে নদী ভাঙ্গনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছে মহাশ্মশান ঘাট,অটো রাইস মিল,কমিউনিটি ক্লিনিক,বসতবাড়িসহ মাছের ঘের।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় আতাই নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থান এই বাতিভিটা গ্রামটির।এটি দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সর্বনাশা আতাই নদীর প্রবল জোয়ার ভাটার কারণে ভাঙ্গনের কবলে পরে গ্রামটি। গ্রামটি নদী তীরে অবস্থান হওয়ায় মানুষগুলো সবসময় থাকে আতঙ্কিত।
এলাকাবাসী এ সময় প্রতিবেদককে জানান, নদী ভাঙ্গনে তাদের প্রিয় এ ছোট গ্রামটি আরও ছোট হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অনেক বসতবাড়ি ও খেলার মাঠ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু এলাকায় পাকা বেড়িবাঁধ দিয়ে ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা করেও তাতে বেশি একটা সুফল হয়নি।নদীর ¯্রােতের কারণে পাকা বেড়িবাঁধের পর নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।বর্তমানে নদীর তীরবর্তী রাস্তার একাংশ ভেঙে গেছে। যেকোনো মূহুর্তে রাস্তাটি ভেঙ্গে বাতিভিটা গ্রামটি সম্পুর্ন তলিয়ে যেতে পারে।কয়েক কোটি টাকার মৎস ঘের প্লাবিত হতে পারে। ইতোমধ্যেই মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এলাকার মহাশ্মশান ঘাট, অটো রাইস মিলসহ কয়েকটি বসতবাড়ি। কমিউনিটি ক্লিনিক ভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছে ও মহাশ্মশান ঘাটটি অর্ধেক ঝুলে আছে আতাই নদীতে। ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ও দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো মাহবুবুল আলম আতাই নদীর ভাঙ্গন প্রবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।