পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় অনুমোদন ছাড়াই যত্রতত্র চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় প্রায় অর্ধশতাধিক দোকানে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস (সিলিন্ডার গ্যাস)। বৃহ¯পতিবার উপজেলা শহরের পীরতলা বাজারসহ বিভিন্ন ¯পট ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
এসব অধিকাংশ দোকানেরই এলপি গ্যাস বিক্রির কোনো অনুমোদন নেই। মুদির দোকান থেকে শুরু করে চায়ের দোকান, লোডের দোকান, প্লাস্টিক সামগ্রীর দোকান, টিনের দোকান, স্যানিটারিÑএমনকি পান দোকানের সামনে রাস্তার পাশে এলপি গ্যাস (সিলিন্ডার গ্যাস) সারিবদ্ধ রেখে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কোনো রকম নিয়ম-নীতি ছাড়াই শুধু ট্রেড লাইসেনস নিয়ে আবার কেউ অনুমোদন ও অগ্নিনিরবাপক ও বিস্ফোরক লাইসেনস ছাড়াই এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব দোকানে নেই আগুন নিরবাপক যন্ত্র। আর সেই যন্ত্র না থাকায় যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে তার প্রতিকারও জানা নেই এসব ব্যবসায়ীর।
জনবহুল এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবেই এসব ব্যবসা চালিয়ে গেলেও প্রশাসন রয়েছে নিরবিকার। উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের ছোট-বড় বাজারগুলোতেও এলপি গ্যাস বিক্রি হচ্ছে। এলপি গ্যাসের চাহিদা দিন দিনই বাসাবাড়িতে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই যত্রতত্র নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই প্রকাশ্যে বিক্রি করছে।
এ ব্যাপারে খুব দ্রুতই এসব অবৈধ দোকান বন্ধে অভিযান পরিচালনা এবং এগুলো উচ্ছেদ করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।