কুমিল্লার হোমনায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও রুমন দে বৃহস্পতিবার উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের ঝগড়ারচর গ্রামের ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন। সে বাঞ্ছারামপুর উজানচর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। এ সময় সঙ্গে ছিলেন ফোর্সসহ পুলিশের এসআই আশেকুল ইসলাম।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের সব আয়োজন ছিল ঠিকঠাক। পাশর্^বর্তী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নতুন হাটির জনৈক সাজিদুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ের কথা ছিল। বর পক্ষকে বরণ ও অতিথি আপ্যায়নে কনে বাড়ির ওঠানে বাঁশ পুঁতে শামিয়ানা টানানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছিল। পাশেই মাটি খুড়ে চুলা বানিয়ে রান্নার আয়োজন করছিলেন বাবুর্চি। বেলা বয়ে যায়; এমন সময় বাড়িতে পুলিশসহ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি। পাল্টে যায় দৃশ্যপট। খবর পেয়ে বর পক্ষও আর আসেনি। বিয়ে বাড়ির আনন্দ মুহূর্তেই পরিণত হয় বিষাদে। মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কনের অভিভাবককে দশ হাজার টাকা অর্থদ- দেওয়া হয়।
ইউএনও রুমন দে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশসহ নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাড়িতে যাই। রান্নাবান্নার আয়োজন হয়েছিল এবং শামিয়ানা টানিয়ে বসার ব্যবস্থা করেছিল, বরপক্ষ আর আসেননি। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী কনে পক্ষের অভিভাবককে দশ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান এবং মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। মেয়ের স্কুল উজানচর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি নজরদারিতে রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মেয়েটির স্কুলের প্রধান শিক্ষক তপন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশ পেয়ে মেয়েটির পরিবারকে বুঝিয়েছি এবং নজরদারিতে রাখছি।