নাটোরের বড়াইগ্রামে ছেলেদের প্রতি অভিমানে আবদুল হামিদ (৬৫) নামে পরপর তিনবার নির্বাচিত এক ইউপি সদস্য গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (১৩ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের কায়েমকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল হামিদ কায়েমকোলা গ্রামের মৃত আছের আলীর ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, কিছুদিন আগে প্রথম স্ত্রী মারা গেলে আবদুল হামিদ দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকেই ছেলেরা তাদের নামে সকল জমি ভাগ-বাটোয়ারা করে দেবার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। এমনকি একাধিক বার তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিতও করেন তারা। এসব কারণে সম্প্রতি তিনি জোয়াড়ী ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে সালিশ মিমাংসার জন্য লিখিত আবেদনও করেন। এ খবর পেয়ে ছেলেরা শুক্রবার সকালে বাড়িতে তার সঙ্গে পুনরায় দুর্ব্যবহার করেন। পরে দুপুরে বাড়ির সদস্যদের অগোচরে তিনি নিজ শোবার ঘরের তীরের সঙ্গে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবদুর রহিম জানান, নিহতের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।