রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ২৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৮৭ জনের। শনাক্ত ৫০ হাজার ১১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরের চারজন, ঠাকুরগাঁওয়ের তিনজন, দিনাজপুরের একজন ও লালমনিরহাটের একজন রয়েছেন। এ নিয়ে এ মাসের ১৩ দিনে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৭ জনে।
একই সময়ে বিভাগে ১ হাজার ৫৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দিনাজপুরের ৮৩ জন, রংপুরের ৫৭ জন, কুড়িগ্রামের ৪৩ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৩৭ জন, গাইবান্ধার ৩৪ জন, নীলফামারীর ১৪ জন, লালমনিরহাটের ১২ জন ও পঞ্চগড় জেলার ১১ জন রয়েছেন। বিভাগে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। তবে বৃহস্পতিবারের তুলনায় বিভাগে মৃত্যু ও শনাক্ত দুটোই কমেছে।
নতুন মারা যাওয়া ৯ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৭ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরের ৩০১ জন, রংপুরের ২৫৬ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ২১৩ জন, নীলফামারীর ৭৭ জন, পঞ্চগড়ের ৬৬ জন, কুড়িগ্রামের ৫৯ জন, লালমনিরহাটের ৫৮ জন ও গাইবান্ধার ৫৭ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৮১ জন।
বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ১১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ১৩ হাজার ৬৪৯ জন, রংপুরে ১১ হাজার ৪৩২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ হাজার ৭১৮ জন, গাইবান্ধায় ৪ হাজার ৩৪৭ জন, নীলফামারীর ৪ হাজার ৭৩ জন, কুড়িগ্রামে ৪ হাজার ২১৮ জন, লালমনিরহাটে ২ হাজার ৪৮৬ জন এবং পঞ্চগড়ে ৩ হাজার ১৯৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৭২৩ জনে।
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এ ছাড়া সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোয় বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হওয়ায় রংপুর বিভাগের হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির চাপ বেড়েছে। সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য মিলছে না আইসিইউ শয্যা। হাসপাতালগুলোর অক্সিজেন চাহিদাও বেড়েছে। প্রতিদিন করোনার উপসর্গ নিয়ে অন্তত ৮-১০ জনের মৃত্যু হচ্ছে। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের হিসাবে ধরছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।