পুঠিয়ায় চারটি স্থানে প্রতিদিন প্রকাশ্যে জুয়ার আসর বসছে। স্থানীয়রা বলছে,কিছু চিহ্নিত খারাপ প্রকৃতি ছেলেদের সহযোগিতায় বহিরাগত জুয়ারুরা এই আসর বসাচ্ছেন।
পুঠিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জোবায়ের হোসেন জাবের বলেন,উপজেলার মধ্যে সবচাইতে বড় জুয়ার আসর বসছে আমার ওয়ার্ডে। এখানে দুটি বোর্ডে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ টাকার জুয়া খেলা হয়ে থাকে। জুয়া খেলতে আসে নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার প্রায় অর্ধশত লোকজন। গত কয়েকদিনে এখানে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করলে তাদের মারধরের শিকার হতে হচ্ছে। বিষয়টি বিভিন্ন দপ্তরে বলা হয়েছে কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ৭নং ওয়ার্ডের আবুল কাশেম নামের ব্যক্তি বলেন, বানেশ্বর বাজারের আশপাশে দুইটি, ভালুকগাছির ধোপাপাড়া ও ফুলবাড়ি ও পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে দুটি স্থানে প্রতিদিন প্রকাশ্য জুয়ার আসর বসে। আর প্রতিটা জুয়ার আসরে এলাকার ছোটখাটো নেতারা টাকা নিয়ে এই খেলায় সহয়তা করছে। খেলা চলা কালিন সময় মাঝেমধ্যে সাদা পোষাকে পুলিশের লোকজন আসতে দেখা যায়। তিনি বলেন, জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে পারেন না। কেউ মুখ খুললে ওই পাতি নেতাদের মারধর খেতে হয়। যার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীরা তাদের কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সুলতান বলেন, শাহাবুর নামের এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে বানেশ্বর এলাকার কয়েকটি স্থানে অনেক দিন ধরে নিয়মিত জুয়া খেলা হতো। পরে গ্রামবাসী তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে। এখন চলে গেছে চারঘাট পুঠিয়া সীমান্ত এলাকায় তাতারপুর গ্রামে। তবে মাঝেমধ্যে দুই/এক জায়গায় হয়তো খেলা বসতে পাড়ে। তবে আমার কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাকবীর হাসান বলেন, এই ইউনিয়নের মধ্যে ফুলবাড়ি এবং ধোপাপাড়া এলাকায় কিছু জুয়ার আসর এবং মাদকের কেনাবেচা হয় বলে লোকমুখে শুনেছি। তবে এখনো পর্যন্ত পরিষদে কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, উপজেলার মধ্যে কোথায় জুয়া খেলা হয় তা আমার জানা ছিল না। তবে কেউ জুয়াড়িদের বিষয়ে তথ্য দিলে। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।