সাতক্ষীরার কলারোয়ার খোরদো-বাটরায় মুজিব শতবর্ষে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের ঘর নির্মানে পিআইও’কে হুমকি দিয়ে ৭০ হাজার টাকার চাঁদা দাবী করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহান জানান- ইউপি সদস্য বজলু তাকে হুমকি দিয়ে ৭০ হাজার টাকার চাঁদা দাবী করেছে। তিনি আরো বলেন-খোরদো-বাটরায় মুজিব শতবর্ষে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের ঘর নির্মানের আওতায় ১০ টি ঘর নির্মাণ স্থান হতে অনতিদূরে ৪০দিনের শ্রমিক দিয়ে ১০টি ঘরের মাটি ভরাটের নির্দেশ দেন সাবেক ইউএনও মৌসুমী জেরিন কান্তা। ইউএনও’র নির্দেশনা অনুযায়ী পুকুর সাদৃশ্য গর্ত যেখান থেকে মাটি নিয়ে ৪০দিনের লেবার দ্বারা ১০টি ঘরের মাটি ভরাট করা হয়। ২য় পর্যায় ৭টি ঘর নির্মাণ করা হয় তার পিছন দিকে গর্ত দৃশ্যমান থেকে যায়। যেটা পরবর্তীতে বর্তমান ইউএনও’র নির্দেশ অনুযায়ী সুবাস মিস্ত্রির দিয়ে মাটি ভরাট করা হয়। ২য় পর্যায়ে নির্মিত ৭টি ঘরের মাটি ভরাটের ইউএনও মৌসুমী জেরিন কান্তা ৬২০০০/- টাকার ১টি টিআর প্রকল্পের বরাদ্দ দেন। যার প্রকল্প সভাপতি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন আল মাসুদ বাবু। জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের এই বরাদ্দকৃত ৬২০০০/-টাকার প্রকল্পে বজলু মেম্বরের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য বজলু মেম্বরের সাথে মাটি ভরাট/ঘর নির্মাণের কোন বিষয় নিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহানের সাথে কোনদিন কোন প্রকার কথা হয়নি। জুলাই মাসের ২৬তারিখে বজলু মেম্বর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানায়, মাটি ভরাটের কাজ বজলু মেম্বর করেছে এবং ঘরগুলো তার ওয়ার্ডে নির্মিত হওয়ায় সে পিআইও’র কাছে ৭০,০০০/- টাকা চাঁদা দাবী করেন। টাকা না দিলে অন্যথায় কিভাবে উপজেলায় চাকরি করি সে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। এক শ্রেণির জামাতপন্থী কিছু হলুদ সাংবাদিক যে/ যাহারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্পসহ সকল উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উন্নয়ন ধারাকে ব্যহত করতে নানান অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের যোগসাজসে ১২আগস্ট কলারোয়ার একটি ক্লাবে মিথ্যা বানোয়ার্ট সংবাদ সম্মেলন করে এবং বিভিন্ন সময় বজলু মেম্বর জানায়, পিআইও তাকে মাটি ভরাট করতে বলেছে এবং ৮৮,০০০/- টাকা দেবে বলে আশ্বাস করেছে। পিআইও’কে অভিযুক্ত করে কখনও ৭০,০০০/- টাকা কখনও ৮০,০০০/- টাকা কখনও ৮৮,০০০/- টাকা আদায় করার এই অপচেষ্টা সহ কাবিটা/ টিআর প্রকল্পের কোন কাজ হয়নি মর্মে অপপ্রচার চালায়। বিষয়টি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মর্যাদা হানিকর এবং অফিশিয়াল ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এখানে উল্লেখ থাকে যে, গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের স্থান নির্বাচন লেআউট প্রদান, উপকারভোগী সিলেকশন ইউএনও মৌসুমী জেরীন কান্তা নিজ তত্ত্বাবধায়নে করেছেন। বজলু মেম্বরকে মাটি ভরাটের নির্দেশনা ও টাকা প্রদানের আশ্বাস দেয়া মর্মে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণদিত। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহান জানান, জুলাই মাসের ২৬তারিখ বজলু মেম্বর মাটি ভরাটের কাজ করেছে এবং ঘরগুলো তার ওয়ার্ডে নির্মিত হওয়ায় সে পিআইও’র কাছে ৭০,০০০/- টাকা চাঁদা দাবী করেন। এদিকে এই রিপোর্ট রাতে লেখার সময় অভিযুক্ত বজলু মেম্বারের ফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।