দিঘলিয়া উপজেলার পথের বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইয়াসিন সেখ (৪২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার দুই সহোদর ইমরান গাজী ও ইকলাজ গাজী (নিহতের মামাতো ভাই) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।
তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত দুটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসান উল্লাহ চৌধুরী, এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় উপজেলার বারাকপুরস্হ বোনের বাসা থেকে, তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরা ইয়াসিন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার এসআই সনজিৎ সাহা, বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা আপন দুই ভাই, তারা উপজেলার চন্দনীমহল গ্রামের শাহজাহান গাজী পুত্র, তাদের বাবা শাহজাহান গাজী হত্যাকা-ের শিকার ইয়াছিন শেখর মামা। থানার অফিসার ইনচার্জ আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন গ্রেফতার কৃতদের থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদে, তারা হত্যাকা-ের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার সকালে দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি জিআই পাইপ উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ২৫জুলাই রাতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইয়াছিন শেখ খুন হন। ঐ ঘটনায় নিহতের মা খাদিজা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বার ৯।
মামলায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জিয়াউর রহমানের সহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে, অজ্ঞাত আরো ৬/৭ জনকে আসামি করে দিঘলিয়া থানায় মামলা করা হয়। এ ঘটনায় এর আগে সানি (১৯) নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।