দিঘলিয়ায় পূর্ব কলহের জের চিহ্নিত সন্ত্রাসী চক্রের ক্ষুরের আঘাতে জনৈক যুবক আহত। যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি। ত্রিশেরও অধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
দিঘলিয়া থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঈদ-উল-আযহার ঈদের পূর্বে পথের বাজার গরুর হাটে হাজীগ্রাম ও বাতিভিটা গ্রামের দুই দল যুবকের মধ্যে মারামারি হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে হাজীগ্রামের মোঃ শহিদুল শেখের পুত্র মেহেদী হাসানসহ কয়েকজন যুবক পথের বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে এলে বাতিভিটার মোস্ত, মিনারুল, সাদী, রাহুল গং এবং তাদের ডাকে আগত বোগদিয়ার একদল যুবক তাদের সাথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘটিত সংঘর্ষের মাঝে মোস্ত, মিনারুল,সাদী, রাহুল গং নাপিতের ব্যবহৃত ক্ষুর দিয়ে মেহেদী হাসান (১৯)কে আঘাতকরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেহেদীকে ক্ষুর দিয়ে আঘাত করার সময় বাতিভিটার কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী যুবক তাকে ধরে রেখেছিল। মেহেদীকে ক্ষুর দিয়ে আঘাত করার সময় বাতিভিটা/বোগদিয়ার জনৈক সন্ত্রাসী যুবকেরও ক্ষুরের আঘাত লাগে
তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তার সহযোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে কমপ্লেক্স ত্যাগ করে বলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়। এদিকে দিঘলিয়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে এসআই আজিজ মাহমুদ, এসআই সঞ্জিত সাহা, এসআই সাইফুল ইসলাম, এসআই রানা প্রতাব, এএসআই শাহিদুলসহ সংগীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই দৌঁড়ে পালায়। ঘটনাস্থল থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয় এবং একটা ক্ষুর উদ্ধার করে।এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।