অবিবাহিত যুবক আরিফ (১৮)। সরাইলের অরূয়াইল ইউনিয়নের রাণিদিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক জয়নাল আবেদিনের ছেলে। চার ভাইয়ের মধ্যে আরিফ সবার ছোট। ষ্টিলবডি নৌকায় শ্রমিকের কাজ করত আরিফ। গত সোমবার ওই নৌকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। নিখোঁজের ৬ দিন পর গত শনিবার আরিফের লাশ ভেসে ওঠে সুনামগঞ্জের ছাতকের সুরমা নদীতে। নিহতের বড় ভাই জিয়াসহ স্বজনদের অভিযোগ বিল্লাল গংরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আরিফকে হত্যা করেছেন।। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গতকাল রোববার ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, রাণিদিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক প্রয়াত জয়নাল আবেদিনের ৪ ছেলের মধ্যে আরিফ সবার ছোট। একই গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ‘করিম নেওয়াজ ষ্টিলবাডি নৌকায়’ মাসিক ৭ হাজার টাকা বেতনে নৌ শ্রমিক হিসাবে কাজ করত। নৌকার শ্রমিক হিসেবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেত আরিফ। সম্প্রতি নৌকাটির মালামাল আনলোড করতে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকের সুরমা নদীর লাফার্জ ঘাটে নোঙ্গর করা হয়েছিল। গত ৯ আগস্ট সোমবার বিকালে ওই নৌকা থেকে নিখোঁজ হয়ে পড়ে আরিফ। নৌকা থেকে আরিফের বাড়িতে ফোন আসে। ওইদিনই জিয়া সহ আরিফের খুঁজে কয়েকজনয় ছাতক চলে যান। পরের দিন চাতক থানায় জিডি করা হয়। আরিফকে খুঁজতে গিয়ে চলে যায় ৬ দিন। কেথাও মিলেনি আরিফের সন্ধান। গত শনিবার দুপুরে ছাতকের বাইশাবাজার এলাকার সুরমা নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন। তবে নিহতের বড় ভাই জিয়াসহ তার স্বজনরা বলেন, আরিফকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে বিল্লাল গংরা। তারা এর আগেও একই ভাবে আমার দুই চাচা গিয়াস উদ্দিন ও আওয়াল উদ্দিনকে হত্যা করেছিল।
নৌকার মালিক বিল্লাল হোসেন বলেন, আরিফ আমাদের নৌকার কর্মচারী ছিল। গত সোমবার দুপুরের পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। থানায় জিডিও হয়েছে। গত শনিবার তার লাশের কথা শুনে ছাতকে এসেছি। পুলিশ আরিফের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন। ছাতক থানার এস আই প্রদীপ কর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ মামলা করেনি।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন বলেন লাশ উদ্ধারের খবর জেনেছি।