কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসদরের কামারকোনা মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সৈনিক নূরু মিয়া (৬৫) প্রতিপক্ষের লোহার হ্যামারের আঘাতে নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দুপুরে নূরুমিয়ার নিজ বাড়ি কামারকোনা মহল্লায়। তিনি মৃত বেলায়েত হোসেনের পুত্র।
জানা যায়, কটিয়াদী পৌর এলাকার কামারকোনা মহল্লায় অব: বিজিবি সৈনিক নূরু মিয়া তার জমিতে পাকা বাড়ি নির্মানের কাজ শুরু করেন। একই এলাকায় বসবাসরত তার ভাগনি নূরুন্নাহার মামার নিকট ২ শতাংশ জমি ওয়ারিশ দাবী করেন। এ নিয়ে কয়েকবার শালিস দরবার হয়। শালিস দরবারে ওয়ারিশ পাওয়ার বিষয়টি প্রমান করতে না পেরে স্থানীয় প্রভাবশালী দলী নেতাদের সাথে ওয়ারিশ উদ্ধারের চুক্তি করেন। এরপর প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে ওয়ারিশ দেয়ার জন্য নুরুমিয়াকে হুমকি প্রদান করে আসছে। রোববার দুপুরে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আহমেদ পাবেল, জুয়েল ও দেলোয়ারের নেতৃত্বে নুরুন্নাহার, জহিরুল, মোতালিব, ফাহিম, সাজ্জাদ, বাবু, তারেক, হিমেল, ইমরান, কুদ্দুছ, সজিবসহ অন্তত ৩০জনের একটি দল বিজিবি সৈনিক নুরু মিয়ার নির্মান কাজে বাধা প্রদান করে এবং ইট বালু খোলে ফেলে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাজমিস্ত্রির লোহার হ্যামার দিয়ে নুরু মিয়ার বুকে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অবস্থা খারাপ দেখে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গুরুতর আহত নুরুমিয়াকে উদ্ধার করে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শি সজিব জানান, উশৃঙ্খল লোকজন নির্মানাধীন কাজের ইট বালি তুলে ফেলে দেয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হ্যামার দিয়ে নুরু মিয়ার বুকে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
নুরু মিয়ার মেয়ে সামছুন্নাহার ও ফাহমিদা জানান, পৌর আলীগের সাধারণ সম্পাদক পাবেল বেশ কিছু দিন যাবত আমার পিতাকে জমি ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। আমরা তিন বোন। আমাদের কোন ভাই নেই। আজ তার দলবল নিয়ে এসে আমাদের বাড়িতে হামলা করে আমার পিতাকে হত্যা করে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করি।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন বলেন, জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল। এ নিয়ে একাধিকবার দেনদরবার হয়েছে। আজ প্রতিপক্ষের লোকজন নুরুমিয়ার বাড়িতে গিয়ে হৈ হোল্লা করলে নুরু মিয়া স্টোক করে মৃত্যু বরণ করেন। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তারপরও ময়নাতদন্তে প্রকৃত বিষয়টি বের হয়ে আসবে।