দিঘলিয়ায় পূর্ব কলহের জের ধরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী চক্রের ক্ষুরের আঘাতে মেহেদী হাসান (১৯) নামে জনৈক যুবক গুরুতর আহত। যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি। ত্রিশেরও অধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রানা শেখ (২০) নামে এক চিহ্নিত ভাড়াটে সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করছে। এবং পথের বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পিছনের বাড়ির ডোবা থেকে একটা ক্ষুর উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
দিঘলিয়া থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঈদ-উল-আযহার ঈদের আগের দিন পথের বাজার গরুর হাটে হাজীগ্রামের শেখ শহিদুল পুত্র মেহেদী হাসান তার সঙ্গী জুয়েল, তাসরিফ ও তানভীর ২টা গরু নিয়ে আসার পথে মটরসাইকেল আরোহী বাতিভিটা গ্রামের আসলামের পুত্র মোস্ত গং নানাভাবে গরুকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও পরে আসলাম এবং তার পুত্রগং তদেরকে মারধর করে এবং তাদের কাছ থেকে গরু বিক্রির ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। যা স্থানীয় সালিশের অপেক্ষায় ছিল। পূর্ব ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে হাজীগ্রামের মোঃ শহিদুল শেখের পুত্র মেহেদী হাসানসহ কয়েকজন যুবক পথের বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে এলে বাতিভিটার মোস্ত, মিনারুল, সাদী, রাহুল গং তাদের নিকট এসে তাদের উষ্কানীমুলক কথা বলতে থাকেএবং তাদের হাটের মধ্যে হামলা ও মারধর করার কথা বলে তাদের হুমকী দেয়। একসময় তারা মোবাইল করে বাতিভিটা ও বোগদিয়া থেকে ২০/২৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসীকে ডেকে আনে।
তাদের ডাকে আগত সন্ত্রাসীরা হাজীগ্রামের স্কুলে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে আসা লোকজনের উপর অতর্কীত হামলা চালায়। তাদের হামলায় ও ক্ষুরের আঘাতে আহত হয়েছে মেহেদী হাসান, শের আলী, সোহেল, শহিদুল, জুয়েল, তাসরিফ, তানভীর, জুয়েলসহ অনেকে আহত হয়। আহতদের মধ্যে ক্ষুরাহত মেহেদীর অবস্থা আশংকাজনক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাতিভিটা গ্রামের আসলাম,
মোস্ত, মামুন, মিনারুল,সাদী, রাহুল ও তাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা এ হামলার জন্য দায়ী। তারা সালিশীকে উপেক্ষা করে এই মারামারিসহ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা নাপিতের ব্যবহৃত ক্ষুর দিয়ে মেহেদী হাসান (১৯)কে (এমএ মজিদ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র) আঘাতকরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেহেদীকে ক্ষুর দিয়ে আঘাত করার সময় বাতিভিটার কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী যুবক তাকে ধরে রেখেছিল এবং বোগদিয়া থেকে আগত ভাড়াটে সন্ত্রাসী রানা শেখ তাকে ক্ষুরাহত করে। এ সময় এসন্ত্রাসীদের হাতে বাতিভিটা গ্রামের এক যুবকও ক্ষুরাত হয়। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তার সহযোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে কমপ্লেক্স ত্যাগ করে বলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়। এদিকে দিঘলিয়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে এসআই আজিজ মাহমুদ, এসআই সঞ্জিত সাহা, এসআই সাইফুল ইসলাম, এসআই রানা প্রতাব, এএসআই শাহিদুলসহ সংগীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই দৌঁড়ে পালায়। ঘটনাস্থল থেকে রানা শেখ নামক এক ভাড়াটে সন্রাসী যুবককে গ্রেফতার করা হয় এবং একটা ক্ষুর উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে মেহেদীর পিতা শহিদুল ইসলাম শেখ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।