আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের ব্রিকফিল্ড সংলগ্ন কেওয়াবুনিয়া নামক স্থানে মাইক্রোবাস খাদে পড়ে তালতলী আইসোটেক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুই কর্মকর্তা চিনা নাগরিক, দোভাষী নিহত এবং চালক গুরুতর আহত হয়েছে। পুলিশ নিহত তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনা ঘটেছে রোববার গভীর রাতে।
জানাগেছে, তালতলী আইসোটেক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিনা সাংহাই ইলেকট্রিক পাওয়ার কন্সট্রাকশন কোম্পানীর সেফটি কর্মকর্তা লিওয়েন তাও, প্রকৌশলী লুজিকলং, দোভাষী প্রকৌশলী মোঃ ফখরুল হাসান ঢাকা থেকে একটি ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-হ-১৩-১৫৭৪) যোগে তালতলী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আসতেছিল। পথিমধ্যে আমতলী - পটুয়াখালী মহাসড়কের ব্রিকফিল্ড সংলগ্ন কেওয়াবুনিয়া নামক স্থানে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে সেফটি কর্মকর্তা লিওয়েন তাও, প্রকৌশলী লুজিকলং, দোভাষী প্রকৌশলী মোঃ ফখরুল হাসান ঘটনাস্থলে নিহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আহত গাড়ী চালক মোঃ মুছা মৃধা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। দোভাষী প্রকৌশলী মোঃ ফখরুল হাসানের বাড়ী ঢাকার গুলশান। তার বাবার নাম মোঃ আনিসুর রহমান। আহত গাড়ী চালক মোঃ মুসা মৃধার বাড়ী পটুয়াখালী সদর উপজেলার খলিশাখালী গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুস সালাম মৃধা।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। গাড়ীটি পানির নীচে তলিয়ে থাকায় তিনজন নিহত হয়েছে। পুলিশ রাতেই নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
তালতলী আইসোটেক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দোভাষী তন্ময় বলেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিনা সাংহাই ইলেকট্রিক পাওয়ার কন্সট্রাকশন কোম্পানীর সেফটি কর্মকর্তা লিওয়েন তাও, প্রকৌশলী লুজিকলং ও দোভাষী প্রকৌশলী মোঃ ফখরুল হাসান ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসে তালতলীতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানা আনা হয়। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
বরগুনা পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গির মল্লিক বলেন, আইসোটেক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ও চায়না দুতাবাস নিহত চায়রা দু নাগরিকের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার সকল ব্যবস্থা করবেন।