বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা খালের ঝুঁকিপূর্ণ ২১০ ফুট দীর্ঘ সেতুটি ধসে পড়েছে। মঙ্গলবার ভোররাতে হঠাৎ সেতুটি মাঝখান থেকে ধসে পড়ায় বড় ধরণের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো পথচারী। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে রায়েন্দা ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া, বিভিন্ন পন্যবাহী নৌযান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। ভোররাতে সেতু ধসের কারণে বড় কোন দূর্ঘটনা বা অন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এক বছর আগেই এই সেতুটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করার পর একশ ফুট দূরত্বেই বিকল্প হিসেবে আরেকটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু তারপও ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দিয়ে মানুষ চলাচল বন্ধ হয়নি। হঠাৎ সেতু ধসে মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী রায়েন্দা বাজারের নৈশ প্রহরী মো. আউয়াল মিয়া জানান, ভোর পাঁচটার দিকে বিকট শব্দে সেতুটি ভেঙে পড়ে। তখন বাজার বা সেতুতে কোনো লোকজন ছিলনা। যে কারণে অন্য কোনো ক্ষতি হয়নি। সেতুসংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল হালিম ও মো. ডালিম হাওলাদার জানান, রায়েন্দা ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এই ব্রিজ থেকে চলাচল করে। দিনের বেলায় এমন ঘটনা ঘটলে মানুষ মারা যেতো।
জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে রায়েন্দা খালের ওপর এলজিইডি বিভাগের লোকষ্ট প্রকল্পের আওতায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে লোহার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। তাছাড়া সেতুটির মাঝখানে ৪০ ফুট দূরত্বে স্ট্যান্ড দেয়ার নিয়ম থাকলেও খাদ্য গুদামের কারণে ৫৫ ফুট দুরে দেয়ায় বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এই মধ্যে সেতুর লোহার পিলারগুলো নিচ থেকে সম্পূর্ণ ক্ষয় হয়ে যায়। এছাড়া, আরসিসি তিনটি স্প্যানে ভয়াবহ ফাটল ধরে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেছে। সেই থেকে প্রায় ২৪ বছরে মধ্যে একবারও মেরামত না করায় আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতুটি। এ সমস্যা নিয়ে দৈনিক মানবকন্ঠে একাধিক বার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
শরণখোলা উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল মতিন জানান, পরিত্যাক্ত সেতুাটি ভেঙে ওই একই স্থানে নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনাটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এক বছর আগেই সয়েল টেষ্ট সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া, সংযোগ সড়কের জন্য জায়গা না থাকায় সেতু নির্মাণ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে।