অতি দ্রুত ঠেগামুখ স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে বরকল উপজেলার অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের গতি বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি।
ঠেগামুখ স্থলবন্দর বন্দর হলেই এ এলাকার মানুষের জীবনমানোন্নয়ন আরো বৃদ্ধি হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সীমান্ত সড়কের কাজ শুরু হয়েছে। অতি দ্রুত কাপ্তাই হ্রদের ও ড্রেজিং ও শুরু হবে বলে মতব্যক্ত করেন। ঠেগামুখ স্থলবন্দর চালু হলে সড়ক ও নৌপথে যাতে পণ্য সামগ্রী পরিবহনে বাধা সৃষ্টি না হয় তার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৭ আগষ্ট) সকালে দুর্গম বরকল উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ কর্তৃক শিক্ষা সামগ্রী, ক্রীড়া সামগ্রী, সাংস্কৃতিক সরঞ্জাম ও সেলাই মেশিন বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমার সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাজী কামাল উদ্দিন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, বরকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা, বরকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল রানা, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চাকমা, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মমতাজুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেলসহ বরকল উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, পাহাড়ের প্রতিটি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ দূর্গম এলাকার শিক্ষা বিস্তারে বর্তমান সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, পাহাড়ের দুর্গম এলাকাগুলোতে যেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়নি সেখানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
পরে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও ক্লাবের প্রতিনিধির হাতে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সরঞ্জাম তুলে দেন। এছাড়া বরকল উপজেলার প্রশিক্ষিত ৪৭ জন নারীকে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।