দিঘলিয়া উপজেলার পানিগাতী ফাতেমা মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বারান্দার গ্রিল কেটে ১৬ টি ল্যাপটপ চুরির আড়াই মাসেও কোন সন্ধান মেলেনি মালামলের। কে বা কারা এচুরির সাথে জড়িত তাও শনাক্ত করা যায়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, ৬ জুন রোববার রাতে পানিগাতী ফাতেমা মেমোরিয়াল বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের জানালার গ্রিল কেটে ১৬ টি ল্যাপটপ চুরি হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৯ লক্ষাধিক টাকা। বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ে এতবড় চুরি সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে। এমনকি চুরির ব্যাপারে ২ দিন পরও নৈশ প্রহরী জানতে পরেনি বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই বিদ্যালয়ে এসে গ্রীল কাটা ও আইসিটি কক্ষে ঢুকে দেখতে পান ল্যাপটপ চুরি হয়েছে। বিদ্যালয়টির মূল্যমান ল্যাপটপ চুরির পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চুরির ঘটনা স্থানীয় প্রশাসন ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের জানান। দিঘলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
অপর এক সূত্র থেকে জানায়, বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কর্তব্য পালন অবস্থায় বিদ্যালয়ের ১৬টি ল্যাপটপ চুরি চাঞ্চল্যকর ও রহস্যজনক। যে রহস্য গত আড়াই মাসেও উন্মোচন হয়নি। বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ চুরির সংবাদ পেয়ে ৭ জুন সোমবার সকালে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল আলম, খুলনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি সার্কেল মোঃ খায়রুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দঃ) শুশান্ত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উঃ) মামুন অর রশিদ, দিঘলিয়া থানা ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ চৌধূরী, ওসি (তদন্ত) রিপন কুমার সরকার এবং সিআইডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মামলা নম্বর ৭, তারিখ ০৭/০৬/২০২১। দিঘলিয়া থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আহসান উল্লাহ চৌধুরী এ প্রতিনিধিকে জানান চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার ও
চুরির সঙ্গে জড়িত চক্রকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা অব্যহত আছে।
এদিকে চুরির ঘটনার আড়াই মাস গড়িয়ে গেলেও চুরির সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার বা চুরি হওয়া কোন মালামাল উদ্ধার হয়নি। এদিকে ফাতেমা মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৬টি ল্যাপটপ চুরি, পানিগাতি মদ্রাসার নির্মাণ সামগ্রী চুরি, পথের বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে রড চুরি, নব নির্মিত সেনহাটি বক্শীবাড়ি টিটিসির মূল্যবান জিনিস পত্র চুরি সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে। এসকল প্রতিষ্ঠানে নৈশ প্রহরীগণ কর্তব্য পালন অবস্থায় দুঃসাহসিক চুরি রহস্য উন্মোচন হোক এটায় বিজ্ঞ মহলের দাবী।