আফগানিস্তান এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। এরইমধ্যে সেখানে ফিরতে শুরু করেছেন তালেবানের নির্বাসিত শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা। ফিরেছেন তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়েরও সহপ্রতিষ্ঠাতা ও জ্যেষ্ঠ নেতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদারও। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) কান্দাহারে ফিরেছেন মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। কান্দাহার বিমানবন্দর থেকে যখন মোল্লা আবদুল গনি বারাদার গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন, তখন উচ্ছ্বসিত জনতা তাকে অভিবাদন জানায়। এ সময় তালেবানের সদস্যরা তার নামে স্লোগান দেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। তিনি বলেন, বারাদারসহ অন্য নেতারাও দেশে ফিরেছেন।
জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আরও বলেন, তাদের শাসনে নারীরা স্বাধীনতা পাবে শরিয়া আইন অনুযায়ী। তাদের নিয়ম মেনে সংবাদমাধ্যমও মুক্তভাবে কাজ করতে পারবে। বিদেশি যোদ্ধাদের সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর ঘাঁটি হিসেবে আফগানিস্তান আর ব্যবহৃত হবে না।
নির্বাসনে থাকা তালেবান নেতাদের অনেকেই কাতারের দোহায় অবস্থান করছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। কাতারের দোহায় তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শান্তিচুক্তিও হয় এর আগে। সেই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন তালেবানের অনেক শীর্ষ নেতারা।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান তালেবানের শাসনে ছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট সেখানে যৌথ অভিযান চালায়, যার মাধ্যমে তালেবান শাসনের অবসান ঘটে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল গত রোববার পুরো দখলে নেয় তালেবান। এরপর দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি পালিয়ে যান। তালেবানের জন্য ক্ষমতা ফিরে পাওয়া আরও সহজ হয়ে যায়। প্রায় ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধের সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। এখন তারা দেশরক্ষা এবং শান্তিপূর্ণ শাসন ব্যবস্থা চালুর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।