দিঘলিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান এবং তাঁর এক সহযোগী কর্তৃক দিঘলিয়া (দঃ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে দু’দফা লাঞ্চিত করার ঘটনায় লাঞ্চনাকারী চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব চেয়েছেন দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুবুল আলম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ৬৫৮ নং স্বারকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোভিড -১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত গত ৭ আগস্ট গণটিকা প্রদান কর্মসূচীতে দায়িত্ব পালনরত দিঘলিয়া (দঃ) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মানষিক নিগৃহের জন্য কারণ দর্শানো প্রসঙ্গে। পত্র প্রাপ্তির ৭ কার্য দিবসের মধ্যে নিগৃহকারী দিঘলিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোল্যা ফিরোজ হোসেনকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য,গত ৭ আগস্ট দিঘলিয়া এম এ মজিদ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সরকারের গণটিকা কার্যক্রমে স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে দু’ দফা লাঞ্চনার শিকার হন দিঘলিয়া (দঃ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান। ১ম দফা লাঞ্চিত করেন ঐ চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সদ্য বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী বাবু খান। ২য় দফা লাঞ্চনার শিকার হন দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নের নানা কারণে আলোচিত চেয়ারম্যান মোল্যা ফিরোজ হোসেন কর্তৃক। ঘটনাটি নিয়ে এলাকাবাসী এবং দিঘলিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ঘটনার একদিন পর জরুরী সভা ডেকে হেনস্তাকারী শিক্ষকের মর্যাদার সামান্যতম হের ফের হলে বা সন্মানজনক কোন সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে না আসলে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে শিক্ষকরা শিক্ষক লাঞ্চনাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একযোগে উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুবুল আলম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ শিরীন ময়না এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আলী রেজা বাচার নিকট স্বারকলিপি প্রদান করেন। আরো উল্লেখ্য যে, দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোল্লা ফিরোজ হোসেন ও তার এক ঘনিষ্ট সহযোগী কর্তৃক সরকারের গনটিকা কেন্দ্রে নানা অনিয়ম, কেন্দ্রে বিভিন্নভাবে আধিপত্য বিস্তার, সরকারি কাজে বাধার সৃষ্টি ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিদ্দিকুর রহমানকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। পাশাপাশি দিঘলিয়া উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জরুরী সভা ও উল্লিখিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়ে সরকারের বিভিন্ন দফতরে স্মারক লিপি প্রদানের ব্যাপারেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে।