গোয়ালন্দ উপজেলার দেশের বৃহত্তম দৌলতদিয়া যৌনপল্লির পিছিয়ে পড়া দেড় সহ¯্রাধিক বাসিন্দাকে করোনা ভাইরাস সংক্রমান রোধে বিশেষ ব্যবস্থায় গণটিকার আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহন করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগ। বুধবার দৌলতদিয়া যৌনপল্লি সংলগ্ন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
জানা যায়, দেশের সর্ববৃহত দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে প্রায় দেড় সহ¯্রাধিক যৌনকর্মীসহ পল্লি সংশ্লিষ্ট নানান পেশার মানুষের বসবাস। অত্যান্ত ঘিঞ্চি পরিবেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের চরম ঝুকি এ পল্লিতে। কিন্তু এখানকার বাসিন্দারা অত্যন্ত অসচেতন ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি। তাই সারাদেশে গণটিকার কার্যক্রম শুরু হলেও দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে আশানুরূপ সারা পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি আমলে নিয়ে তাদের গণটিকার আওতায় আনতে বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের টিকা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহন করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগ। যৌনপল্লির বাসিন্দাদের কোন টিকা কেন্দ্রে না গিয়ে পল্লির পাশেই ক্যাম্প করে তাদেরকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে বুধবার থেকে। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে দৌলতদিয়া যৌনপল্লি ভিত্তিক কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক খান মামুন জানান, অন্যান্য যে কোন জায়গার চেয়ে দৌলতদিয়া পূর্বপাড়ায় (যৌনপল্লি) করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুকি বেশি। কারণ এখানে একদিকে অত্যন্ত ঘনবসতি, অপরদিকে সারা দেশ থেকে মানুষ এখানে আসা-যাওয়া করে। কিন্তু এখানকার বাসিন্দারা অনেকটাই অসচেতন। তাই তারা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা গ্রহনে তেমন আগ্রহী না। তাই পল্লির পাশেই তাদের করোন ভ্যাকসিন প্রদানের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এতেকরে আশা করছি এখানকার শত ভাগ মানুষকে করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসিফ মাহমুদ জানান, টিকার রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি সম্পর্ন করছে বিভিন্ন এনজিও কর্মীরা। এরপর আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা দ্রুততার সাথে আগতদের টিকা প্রদান করে দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, এক্ষেত্রে পরবর্তীতে একটা সমস্যা থেকেই যাবে। পল্লির যে সকল বাসিন্দাদের জাতীয় পরিচয় পত্র নেই তাদেরকে টিকা প্রদান করা সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার থাকবে না।