দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটা অবলম্বন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ৫'শ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসে সাধারণ মানুষ। এ হাসপাতালে সাধারণ মানুষের চিকিৎসার পাশাপাশি চলছে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট করোনা ইউনিট ও ২০ শয্যার ডেঙ্গু ইউনিট। এ দু'টি বাড়তি ইউনিটের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি নতুন কোন জনবল। ফলে জনবলের ঘাটতি নিয়েই স্বাস্থ্য সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের এক সূত্র থেকে জানা যায়, একাধিকবার সংশ্লিষ্ট চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিনতু শূণ্যপদগুলোতে জনবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছেনা। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসকদের ২৮৫ টি পদের মধ্যে শূণ্য রয়েছে ১'শ ৫৬ টি। উপ-পরিচালকের ১টি, তত্বাবধায়কের ১টি, সিনিয়র কনসালট্যান্টের ৭টি পদের বিপরীতে শূণ্য রয়েছে ৩টি, ডেন্টাল সার্জন একটি, রেজিস্ট্রারের ৪২টি পদের বিপরীতে ১৭ টি ও সহকারী রেজিস্ট্রারের পদ শূণ্য রয়েছে ৫৮ টি। ইনডোর মেডিকেল অফিসারের ৪০টি, ডায়ালাইসিস মেডিকেল অফিসারের ১টি, শিশু অর্থ সার্জারীর ১টি, আউটডোর মেডিকেল অফিসারের ৯টি, মেডিকেল অফিসারের ৪টি, প্যাথলজিস্টের একটি পদ শূণ্য রয়েছে। এ্যানেসথেসিওলস্টের(ওটি ও আইসিইউ) মঞ্জুরকৃত ১৬টি পদের মধ্যে ১৪টি পদই শূণ্য রয়েছে। এছাড়াও শূণ্য রয়েছে রেডিওলজিস্টের ৩টি পদের বিপরীতে একটি ও ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসারের ৪টি পদ শূণ্য রয়েছে। বরাদ্দের অর্ধেক জনবল নিয়ে চলছে এ হাসপাতালটির রোগীদের চিকিৎসা সেবা।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, এ হাসপাতালটি ৫'শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হলেও এখানে সর্বদা রোগী ভর্তি থাকে হাজারেরও বেশী। এ ছাড়াও এখানে রয়েছে করোনা ও ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা চলমান ২'টি অতিরিক্ত ইউনিট। এখানে আরও অনেক চিকিৎসক প্রয়োজন। বর্তমানে বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসকদের হিমসিম খেতে হচ্ছে।
এদিকে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ রবিউল হাসান বলেন, বরাদ্দকৃত পদের বিপরীতে অর্ধেকেরও কম সংখ্যক চিকিৎসক নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচলনা করতে হচ্ছে। ফলে চিকিৎসকদের উপর চাপ বাড়ছে। সাধারণ রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী তাঁরা চিকিৎসা সেবা দিতে পারছেন না। হাসপাতালে বরাদ্দকৃত পদের বিপরীতে শূণ্য পদগুলোতে জনবল নিয়োগ দেওয়ার জন্য কয়েক বার চিঠি চালাচালি করেও জনবল নিয়োগের কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেও হাসপাতালের এক সূত্রে জানা গেছে।