খুলনার পাইকগাছা-তালা উপজেলার সিমান্তে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৩ যুবকের তথ্যের ভিত্তিতে লুন্ঠিত মটরসাইকেল ও মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দোষ স্বীকার করে উপজেলার বিরাশি গ্রামের হাসান শেখ (২১) আলমতলার ফয়সাল জমাদ্দার (২০) ও তালা উপজেলার মোল¬্যাপাড়ার জনি মীর (২০) স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে ওসি এজাজ শফী জানিয়েছেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার এসআই তাকবীর হোসেনের নেতৃত্বে এএসআই জামিরুল, মঞ্জুরুল ও পুলিশ সদস্য পিযুষ ও নিলিমা অভিযান চালিয়ে এ ৩ জনকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ বলছে, এরা সকলে গাড়ীতে হেলপারি করেন এবং অনেকের নামে ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ও ডাকাতি চেষ্টার মামলা রয়েছে। এদিকে ধৃত জনি, হাসান ও ফয়সাল এ লাইনে নতুন দাবী করে বলেন, সর্বশেষ ১২ আগষ্ট রাতের ঘটনায় পৌরসভার গোপালপুরের সাঈদের নেতৃত্বে ৬ জন জড়িত ছিলাম। বর্তমানে সাঈদ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে সর্বশেষ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ইতোপূর্বে সংগঠিত কিং ফিসার পরিবহন ও ট্রাকে ডাকাতির ঘটনার মূল হোতা ছিল গোপালপুরের এ সাঈদ। এ মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ সাঈদ সহ অন্যান্য আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন। জানাগেছে, গত ১২ আগষ্ট রাত সাড়ে ১১ টার পরে কপিলমুনি বাজারের ফল ব্যবসায়ী মাজেদুল ইসলাম ভাড়াটে মটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ী তালা মাছিয়াড়ার উদ্যেশ্যে রওনা দেন। এক পর্যায়ে তারা কাশিমনগরের ইট ভাটা মোড় থেকে খলিল নগর অভিমুখে কিছু দূর পৌঁছালে ধৃতরা সহ ৫/৬ জন মুখোশ পরা যুবক রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে ড্রাইভার রেজাউলের হেলমেট পরা মাথায় আঘাত করে ফেলে দিয়ে মটরসাইকেল ও তার চাঁবি কেড়ে নেয়। এর পর ভয়ভীতি দেখিয়ে দু'জনকে হাত-পা বেধে পার্শ্ববর্তী পানের বরজে নিয়ে ২টি মোবাইল সহ টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী মাজেদুল বাদী হয়ে ১৩ আগষ্ট পাইকগাছা থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে ৩৯৪ ধারায় দস্যুতার মামলা করেন, যার ন্য-২৩। এ মামলাটি তদন্ত করছেন ইন্সপেক্টর দেবাশীষ দাশ। তিন উপজেলার (পাইকগাছা-তালা-ডুমুরিয়া) সিমান্ত কাশিমনগর এক দশক আগেও অস্ত্রের ঝনঝনানিসহ ছিন্তাই, ডাকাতি, অপহরণ ও লুণ্ঠন নিত্য ব্যাপার ছিল। সন্ত্রাসী জোন বলে খ্যাত ছিলো। আবারো উত্তপ্ত হচ্ছে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করেছেন। গোপণসূত্র বলছে, ইতিপূবৈ অনেক সন্ত্রাসী র্যাব-পুলিশ হাতে আটক হয় এবং জেল খেটে ফিরে এসে নতুন করে সংবদ্ধসহ ছদ্ধবেশে নতুন করে বাহিনী তৈরী করছে। তবে পুলিশ প্রশাসনও তৎপর রয়েছে জানান স্থানীয় কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ি ইন্সপেক্টর দেবাশীষ দাশ। লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের তথ্য দিয়ে ওসি মো. এজাজ শফী বলেন, গ্রেফতারকৃতরা দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আরোও জানান, এ ঘটনায় জড়িত পেশাদারি ডাকাতদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।