শোককে শক্তিতে পরিনত করে স্বাধীনতা ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বাংলার মাটি থেকে বিতাড়িত করতে হবে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর ২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের মাগফিতার দোয়া ও আলোচনায় সভা তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ঘাতক ও স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াই ও সংগ্রাম চলবে। এ লড়াই সংগ্রামে জাতির জনকের সৈনিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ সময় তিনি ২১ আগষ্টে গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান।
তিনি বলেন,জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী যখন নেত্রীর সাথে দেশ পরিচালনায় অংশ গ্রহন করছে ঠিক তখনই তার নাম ভাঙ্গিয়ে নিয়োগ বানিজ্য ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার নামে টাকা আদায় করছে সতন্ত্রলীগেরা।
প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,আপনার সুনাম ও গ্রহনযোগ্য রয়েছে সাধারন মানুষের কাছে আপনি যাদের মাথায় হাত রেখেছেন তারা আপনার ছবি ও নাম ব্যবহার করছে। ইউনিয়নে ইউনিয়নে প্রার্থী দিয়ে আওয়ামীলীগকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। যার দায়ভার আপনাকেউ নিতে হবে।
সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন,আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সম্মান দিতে পারেনা বলে নৌকা পেয়েও জিততে পারেনা। ইউপি নির্বাচনের সময় সতন্ত্র প্রার্থী দাঁড় করিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করে।
তিনি বলেন,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এম এ খালেক তার ভুল বুঝতে পারছে আগামি দিনে তিনিও আপনাদের সাথে থাকবে মুল আওয়ামীলীগের সাথে থেকে পরগাছা থেকে আওয়ামীলীগকে মুক্ত করবে।
গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেনের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন,গাংনী হাইস্কুলের সভাপতি হওয়ার পর থেকে লুটপাট করে খাচ্ছে। ৩৫শ’ শিক্ষার্থীর বেতনের টাকা ব্যাংকের হিসেবে জমা নেই। এসময় তিনি ১৫ আগষ্ট শোক দিবসের ব্যানারে সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে শোকজের বিষয়েও কথা বলেন।
গাংনী উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শফি কামাল পলাশকে উদ্যোশে করে তিনি বলেন, কোন ঝালে কত বিষ মকবুল হোসেনকে জিজ্ঞেস করিস। আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক তোদের হাতে নয় ভাতে মারবো। তার বাপ দাদা বিএনপি জামাতের দোষর সে আমার বিরুদ্ধে নোংরা কথা বলে। সে ছোট মানুষ তাই কিছু বলিনা। যেদিন ধরবো সেদিন পালানোর পথ পাবেনা।
তিনি সরকারী কর্মকর্তাদের উদ্যোশে বলেন,সকলকে নিয়ে উন্নয়ন করতে চান তিনি। গাংনীতে যাদের ৩ বছর হয়ে গেছে তাদের অন্যত্র চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন,গাংনীর জনগনকে সেবা দিতে হবে। জনগন হয়রানীর শিকার হলে বরদাস করা হবেনা।
গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমানকে উদ্দেশ্য বলেন, কেউ সেবা নিতে থানায় গেলে যথাযথ সম্মান দেবেন। সেবা প্রত্যাশী আওয়ামীলীগ নেতা কর্মী ও ইউপি চেয়ারম্যানরা আপনার দ্বারা অপমানিত হন তাহলে আপনাকে থানা থেকে বের হতে দেয়া হবেনা।
গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে এসময় জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজকল্যান সম্পাদক ও কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মো: মিজানুর রহমান রানা,গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাষ্টার,নজরুল ইসলাম,আওয়ামীলীগ নেতা মকলেচুর রহমান মুকুল,মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ,রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন সেপু,সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক,বামুন্দী ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবাইদুর রহমান কমল,জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মুনতাছির জামান মৃদুল,গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু সহ আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা ও দোয়া মাহফিল শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে ২১ আগষ্টে গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা।