ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ফরিদপুরে পদ্মার পানি গত ৪ দিন যাবত বেড়েই চরেছে। ফলে দেশের মধ্য অঞ্চলের এই জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। তবে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৭ সেন্টিমিটার পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে তা এখন বিপদ সীমার ৪১ সে.মি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের ৫০ টি গ্রামের ৫ হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছেি এসব এলাকায় গো-খাদ্যের সংকট।
ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, আমার ১২টি গ্রাম বন্যা কবলিত। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা আছে। পানি বৃদ্ধি অবহত থাকলে পানি বন্দি মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান জানান, তার ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের ১৩শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পেড়েছে। পানি বন্দী মানুষের মাঝে ত্রান বিতরণ অব্যহত আছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মৃকর্তা মো. মাসুম রেজা বলেন, পানিবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরন করা হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গবাদি পশুর খাদ্য মজুদ আছে। আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যা দুর্গতদের নিরাপদ স্থানে রাখার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।