জনগণের জীবিকা বন্ধ না করে সকল সুগার মিল খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেছেন, যেভাবেই হোক, ভর্তুকি দিয়ে হলেও চিনকলগুলো খুলে দিতে হবে। হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে আছে। এটা আমাদের রাজনীতিবিদের জন্য চরম ব্যর্থতা।
রোববার (২২ আগস্ট) দুপুরে রংপুরের বদরগঞ্জে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিএম কাদের এসব কথা বলেন। শ্যামপুর সুগার মিল ফটকে অনুষ্ঠিত সভায় সুগার মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা অংশ নেন। এতে মাড়াই স্থগিতকৃত সুগার মিল চালুকরণ ও চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জিএম কাদের বলেন, দেশের সুগার মিলগুলোতে উৎপাদিত খাঁটি ও অর্গানিক চিনির চাহিদা বাহিরের দেশে আকাশচুম্বী। অথচ আমাদের দেশে এ বিষয়ে সরকার নীরব। বর্তমানে সুগার মিলের মেশিনগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেছে। কিন্তু সরকার সেগুলোর আধুনিকায়ন ও সংস্কার করছে না। আমাদের প্রশ্ন, কার স্বার্থে শিল্প-কারখানা, সুগার মিল বন্ধ করা হচ্ছে? আজ হাজার মানুষের জীবন জীবিকা হুমকির মুখে। এর দায় কারা নেবেন।
বরিশালে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সাথে আনসার ও পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, বরিশালের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এ ধরণের ঘটনা অহরহ ঘটছে। কিন্তু আমরা জানতে পারছি না। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসির, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, শ্যামপুর সুগার মিলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ আহসান হাবিব, রংপুর জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক হাজী আবদুর রাজ্জাক, ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন, চিনিকল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি আকতারুল বাদশা প্রমুখ।
পোস্ট এলাকার মৃত আবদুল হামিদের পুত্র মোঃ জিয়াউর রহমান (৪২)। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোট ১৩ হাজার ৪৮০ কেজি মেয়াদোর্ত্তীণ আটা উদ্বার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা।
পরে রংপুরের স্যানেটারী ও নিরাপদ খাদ্য ইন্সপেক্টর বাদী হয়ে জব্দকৃত আলামত এবং আটককৃত আসামীসহ কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করে নিরাপদ খাদ্য আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান হয়, জব্দকৃত 'আটা'র কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক 'আটা'র অনুমোদিত ট্রেড লাইসেন্স জালিয়াতি করে অন্য নাম ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানাতে পারে, জব্দকৃত আটাগুলো পুনঃ প্যাকেটজাত করে নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাতকরণ, পুনঃ ব্যবহার, বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁয় সরবরাহ ও খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য ট্রাকে করে পাঠানো হচ্ছিল।