কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর ও হাওর অধ্যুষিত উপজেলা নিকলীতে কয়েক দশক ধরে ৫শত বাড়িঘর নদী ভাঙ্গনে কবলিত হয়েছে। রোববার দুপুরে বাজিতপুর উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের আসানপুর, শিবপুর, বোয়ালি, চেঙ্গাহাটি, বলিয়ারদী ইউনিয়নের মাইজচর, হুমাইপুর ইউনিয়নের নামাগুষাইপুর, টানগুষাইপুর ঘোড়াউত্রা নদীতে ভেঙ্গে গেছে প্রায় ৪শত বাড়িঘর। এ ছাড়া আসানপুরে গত কয়েক বছর আগে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নদী গর্ভে বিলিন হয়েগেছে। এসব এলাকার মানুষ কেউ বা বাড়ী ঘর ছেড়ে বিভিন্ন শহরে রিকশা শ্রমিক, হোটেল শ্রমিক ও কেউ বা পরিবার নিয়ে দেশেই খুব কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছেন। কিন্তু সরকারী সহায়তা নামে মাত্র আসে। তাদের উপকারের কিছুই আসে না বলে নাম প্রকাশের অনিইচ্ছুক ভোক্তভোগী পরিবারের লোকজনের দুঃখ। এদিকে নিকলী উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের সিংপুর পূর্ব ও পশ্চিম পার্শ্বে ধনু নদীর ভাঙ্গনে কবলিত হয়ে প্রায় অর্ধশত পরিবার ছিন্নমূল হয়েগেছে। তারা এখন অন্যের বাড়িতে বসবাস করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। অন্যদিকে ছাতিরচর ইউনিয়নে ছাতিরচরের গ্রামে প্রায় অর্ধশত পরিবার ২০-২৫ বছর ধরে নদী ভাঙ্গন কবলিত হয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে অধিকাংশ মানুষই বস্তিতে বসবাস করে আসছে। তাদের দিন কাটে খুব কষ্টে। এরা এখন ও পর্যন্ত সরকারী ভাবে কোন সহযোগিতা পাচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এ বিষয়ে বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মোরশেদা খাতুন এ প্রতিবেদককে জানান, সরকারী ভাবে সহযোগীতা আসিলে অবশ্যই নদী ভাঙ্গন কবলিত লোকদের সহযোগিতা করবেন বলে উল্লেখ করেন।