৭ মাসের গর্ভবতী খাদিজা গর্ভবতী ভাতার (মাতৃত্বকাল) তালিকাভুক্ত হতে আবেদন ও সকল কাগজপত্র জমা দিলেও তাকে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। অসহায় খাদিজার বৃদ্ধ শ্বশুর সরকারি দপ্তরে বারবার ঘুরাঘুরি করলেও সুখের সংবাদ পেতে পারেননি।
উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের মেহেদী হাসানের স্ত্রী খাদিজা এখন ৭ মাসের গর্ভবতী। প্লাবিত এলাকার চরম অসহায় দুস্থ পরিবারের স্ত্রী খাদিজা খাতুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে ০৩/০৬/২১ তাং প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করেন। যাতে দেখা যায় তার সম্ভাব্য প্রসবের তারিখ ২২ অক্টোবর’২১। এরপর প্রত্যয়নপত্র, আইডি কার্ডসহ উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে যথারীতি আবেদন করেন। কিন্তু সেই থেকে দীর্ঘ ২ মাস অতিক্রান্ত হলেও তাকে বারবার হাটাহাটির পর এখন সম্ভব নয়, পরবর্তীতে দেখা হবে, যোগাযোগ রাখবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
অসহায় ও প্লাবনে বিপর্যস্থ খাদিজা উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের সুপারিশ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর মাতৃত্ব ভাতা পেতে পৃথক আবেদন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবেদনটি স্বাদরে গ্রহন করে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে পাঠান। কিন্তু না তাতেও কোন কাজ হয়নি। ফলে গর্ভবতী খাদিজা সরকারি সহায়তা বঞ্চিত হয়ে চরম বিপর্যস্থ অসহায় শ্বশুরের কাধে চেপে বসতে বাধ্য হওয়ায় পরিবারটি চোখে সর্ষের ফুল দেখতে শুরু করেছে। সামনে ২ মাস সময় নেই, আল্লাহ চাহেতো অক্টোবরের শেষ দশকে তাদের কাঙ্খিত সন্তান পৃথিবীর মুখ দেখবে। তাকে নিরাপদ ও উপযুক্ত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে সন্তান ভূমিষ্ঠ করানোর সুযোগ তাদের ভাগ্য জুুুুুুুুুুুুটবে কি? না কি সরকারি সহায়তা বঞ্চিত হয়ে খাদিজার কাঙ্খিত দিনটি কষ্টকর ও হতাশা জনক কিছু অপেক্ষা করছে। এব্যাপারে পরিবারের পক্ষ হতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুনজর কামনা করা হয়েছে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, তালিকা ইউনিয়ন কমিটির কাছ থেকে আসে। তারা তালিকাভুক্ত করলে উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেয়। আগামী মাস নাগাদ আবারও বরাদ্দ আসতে পারে।