রংপুরের তারাগঞ্জে ইদানীং চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেযেছে।পুলিশ প্রশাসন তৎপর না থাকায় এই সমস্থ্য ঘটনা ঘটছে বলে ভুক্তভোগীরা মনে করছে।ফলে আইন শৃংখলার অবনতি ঘটছে।২০ দিনের ব্যবধানে ৫ টি মোটরসাইকেলসহ ৯ টি চুরির ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনার পর মোটরসাইকেল ব্যবহার কারীরা ও এলাকাবাসী শ্ংিকত হয়ে পরেছে।
তারাগঞ্জ তানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় রংপুর দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর নদীর ঘাটে একটি জামে মসজিদে গত শুক্রবার দুপুর ১ টার দিকে ইকরচালী ্্ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমান জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য যান।এ সময় তিনি তার কালো রংয়ের ডিসকভার মোটরসাইকেলটি মজজিদের বাইরে রেখে নামাজে অংশ নেন।এই সুযোগে চোরেরা লক খুলে মোটর সাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়।নামাজ শেষে মোটর সাইকেলটি দেখতে না পেয়ে মুঠোফোনে ঘটনাটি তারাগঞ্জ থানা পুলিশকে জানায়।
এদিকে গত বুধবার দিবাগত রাতে কুর্শা ইউনিয়নের বিঞুপুর গ্রামের ডোকন খান রাত ১০টার দিকে তার নীল রংয়ের একটি পালসার ও কালো রংয়ের একটি এ্যাপসি মোটরবাইক ঘরে রেখে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। চোরেরা রাতেই শয়ন ঘরের জানাল া দিয়ে চেতনা নাশক স্প্রে করে এরপর ঘরের ও বারান্দার তালা কেটে মোটর বাইক ২টি চুরি করে নিয়ে যায়। পরের দিন পাশের বাড়ীর লোকজনের ডাকাডাকিতে তাদের ঘুম ভেংগে দেখে মোটর সাইকেল চুরি হয়ে গেছে।গত মঙলবার দিবাগত রাতে পাশের অনন্তপুর গ্রামের ইমরান হোসেন মুনের বাড়ী থেকেও ১২৫ সিসি ডিসকভার চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। ইমরান হোসেন মুন জানান, ঘরের বারান্দায় মোটর সাইকেল রেখে ঘুমিযে পড়েছিলাম ্ রাত ২টার দিকে বাথরুমে যাওয়ার সময় মোটসাইকেলটি ছিল।ফজরের নামাজ পড়তে উঠে দেখি বারান্দার তালা কেটে মোটর সাইকেরটির লক খুলে চোরেরা নিয়ে গেছে।
অন্য দিকে উপজেলার আলমপুওে ইউনিয়নের দোয়ালীপড়া গ্রামে মোজাহার হোসেনের স্ত্রী রশিদা বেগমের লাশ দাফন করতে এসে মোটরসাইকেল চুরি হয়ে গেছে বদরগঞ্জ উপজেলার শাহপুর গ্রামের হাসিনুজ্জামান বাদশার।বাদশা জানায়, আমার দাদী শ্বাশুড়ি মারা যাওয়ায় জানাজায় অংশগ্রহণ করতে এখানে আসি। আমার ১০০ সিসি ডিসকভার মোটরসাইকেলটি তকেয়া জামে মসজিদের সামনে রেখে জানাযায় শেষে কবরস্থানে যাই লাশ দাফন করতে। এই সুযোগে চোরেরা আমার মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়াও গত ১ লা আগস্ট উপজেলার বুড়িরহাট বাজারে ৩টি দোকান ১৩ আগস্ট রাতে থানাড়পাড়া গ্রামের একটি গোডাউনে ও গত শুক্রবার রাতে হাজিরহাট বাজারে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
বুড়িরহাট বাজারের শাহাবুদ্দিন,আনিছুল হক,রজিু মিয়া ,থানাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পড়েশ চন্দ্র শাহর বাড়ির পামের গোডাউনের তালা ভেংগে ও হাজীরহাট বাজারে রুবেল ইসলামের দোকানের তালা ভেঙে চোরেরা প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ও মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
কুর্শা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফজালুল হক সরকার বলেন,তারাগঞ্জে হঠাৎ চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।কুর্শা ইউনিয়নে তিন দিনে চারটি মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে।
তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ বলেন, বিশেষ করে মোটর সাইকেল চুরি যাওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেগ পেতে হচ্ছে আইনশৃংলার জন্য্। চুরি যাওয়া এই ঘটনাস্থলগুলোতে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করছি। চোরকে ধরতে ও চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধারে জোর তৎপরতা চলছে।