কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুর ইউনিয়নের হালিমপুর গ্রামের ও সদ্য পিআরএলএ যাওয়া সাবেক পরিকল্পনা পরিদর্শক এমদাদুল হক দুলাল (৫৯) ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যুর সময় চিরকুটের মধ্যে লিখে যান তার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাজিতপুর সাবেক পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: ছরওয়ার জাহান। সাবেক পরিবার পরিদর্শক এমদাদুল হক দুলাল গত শুক্রবার রাতে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। এই ব্যাপারে বাজিতপুর থানায় গত রোববার দিবাগত রাতে লাশ ময়না তদন্ত শেষে বাজিতপুর সাবেক পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: ছরওয়ার জাহানের নাম উল্লেখ করে (নিহত দুলাল) এর ছেলে রাজিবুল হক একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যয়ন শেষরত ছাত্র রাজিবুল হক এই প্রতিবেদক কে সোমবার দুপুরে জানান, সাবেক পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছরওয়ার জাহান তার বাবার নিকট থেকে তার চাকুরীর দেয়ার নাম করে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু চাকুরী তাকে দেয়নি ওই কর্মকর্তা। এ ছাড়া তার বাবার সহযোগিতায় ওই পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাজিতপুরের আরো ৪-৫ জনকে চাকুরীর নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ওই টাকা তার বাবা নিহত দুলাল মিয়া জামিনদার হিসেবে লোকজনকে টাকা দিতে পারেনি, এই বেধনা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেঁেচ নিয়েছে বলে তারা দাবী করেন। তিনি বলেন, তার বাবার মৃত্যুর একমাত্র দায়ী বাজিতপুর সাবেক পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: ছরওয়ার জাহান। বাজিতপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ফারজানা হক এই প্রতিবেদককে বলেন, তার বিভাগের পরিকল্পনা পরিদর্শক এমদাদুল হক দুলালের মৃত্যুটি খুবই হৃদয়বিদারক। কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক খাইরুল আমিন বলেন, তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে উল্লেখ করেন। ঢাকা বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক মো: শরিফুল ইসলামকে মুঠোফোনে এই বিষয়ে বললে তিনি বলেন, তিনি ও এই বিষয়ে কিছুই জানতে পারেননি। বাজিতপুর পরিবার পরিকল্পনা অফিস কাম কম্পিউটার অপারেটর মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, সাবেক পরিকল্পনা পরিদর্শক মো: এমদাদুল হক দুলালের সঙ্গে তার খুব গভীর সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তিনি কিসের জন্য আত্মহত্যা করেছেন তা তিনি জানতেন না বলে উল্লেখ করেন। এই বিষয়ে বাজিতপুর সার্কেলের এএসপি মো: মঞ্জুরুল ইসলাম, কর্মকর্তা ইনর্চাজ মাজহারুল ইসলাম ও এসআই রফিকুল ইসলাম সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।