কালিগঞ্জে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে করে মসজিদের সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টার প্রতিকার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১১ টায় কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিথ বক্তব্য পাঠ করেন বিষ্ণুপুর বায়তুল আকসা জামে মসজিদের জমিদাতা ও মোতাওয়াল্লী বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত শেখ আবদুল মাজেদের ছেলে শেখ আবদুল হামিদ (৬৫)। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৩০/০৪/২০০৮ খ্রি. তারিখে আমি এবং আমার ওয়ারেশ ও শরীকগণ বিষ্ণুপুর মৌজায় এসএ ২৫৯, আর এস ২১ নং খতিয়ানে এসএ ৫৬৯ দাগে ও আর এস ৩৮৩নং দাগে ৭১ শতক এবং ৩৯০ দাগে ২০শতক মোট ৯১ শতক জমির মধ্যে ৯ শতক জমি বিষ্ণুপুর গ্রামে অবস্থিত ‘বায়তুল আকসা’ জামে মসজিদের অনুকুলে ১৪১৭ নং ওয়াকফ দলিল মূলে হস্তান্তর করি। ওই জমিতে সে সময় থেকে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আল আকসা জামে মসজিদটি স্থাপিত হয় এবং অদ্যাবাধি সুষ্ঠু পরিবেশে সেখানে নামাজসহ ধর্মীয় কার্যাবলী পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি মসজিদের নামীয় ও ভোগদখলীয় সম্পত্তির মধ্যে মসজিদের দক্ষিণ সীমানা বরাবর অবস্থিত আনুমানিক ৫ শতক জমি বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত নন্দ্রেনাথ সরদারের ছেলে বনবহিরী সরদার (৭০) এর ইন্ধনে ওই দক্ষিণ সীমানায় সরকারি ১/১ খতিয়ানভুক্ত জমি ভোগদখলকারী গোপাল সরদার (৫০) ও তার ছেলে লাচ্চু সরদার (২৬) জবরদখলের পায়তারা শুরু করে। এ ঘটনায় আমি সাতক্ষীরায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৫ ধারামতে পি. মামলা নং-৬৫৫/২১ (কালিঃ) দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালত বিবাদী পক্ষগণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন এবং কালিগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।
কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে গোপাল সরদার ও তার ছেলে লাচ্চু সরদার গত ২১/০৮/২০২১ খ্রি. তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ টার দিকে ২০/২৫ জন লোক নিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মসজিদের নামীয় ও ভোগদখলীয় জমিতে প্রবেশ করে প্রায় ৫ শতক জায়গা ঘেরাবেড়া দেয়ার কার্যক্রম শুরু করে। আমি, মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও মুসুল্লীবৃন্দ তাৎক্ষণিক ভাবে তাদের বাধা প্রদান করি। তারা নিষেধ উপেক্ষা করে জবরদখল কার্যক্রম চালাতে থাকলে আমরা আইনি সহায়তা পেতে ৯৯৯ এ ফোন করি। পরবর্তীতে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছানোর সাথে সাথে দখলকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশ কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ওই দখলদার চক্র সন্ত্রাসী নিয়ে দখলদারিত্ব বজায় রাখার জন্য অব্যাহত ভাবে মহড়া প্রদান করছে এবং নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছে। তাদের আগ্রাসী কার্যক্রমের আমি ও মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছি। এই মুহূর্তে তাদের প্রতিহত করতে গেলে বড় ধরণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মসজিদের সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে মসজিদের মুসুল্লিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।