নীলফামারীর সৈয়দপুর প্রেসক্লাব। এ এলাকার সাংবাদিকদের একটি মিলন কেন্দ্র। ১৯৭৪ সালে এ প্রেসক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দুই তলা করে এ প্রেসক্লাবের রয়েছে দুটি নিজস্ব ভবন। একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় মুল অফিস। ভাড়ায় রয়েছে বাকি কক্ষগুলো। প্রেসক্লাবের আয় বলতে ভাড়ায় থাকা দোকান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল প্রেসক্লাবের কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেশীরভাগ সময় কমিটি হয়েছে সমঝোতার মাধ্যমে। তখন কিন্তু প্রেসক্লাবের সদস্য সংখ্যা ছিল কম। যার ফলে সমঝোতা করে করা হত কমিটি। কিন্তু কালের পরিবর্তনের সাথে বেড়েছে প্রেসক্লাবের সদস্য সংখ্যা। তারপরেও সমঝোতা করে কমিটি হয়ে আসছে। এরইমধ্যে সদস্যদের মাঝে চলে আসে নির্বাচনী আলোচনা। এক পর্যায় চলে আসে নির্বাচনী কার্যক্রম। নির্বাহী কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি করার প্রচলন শুরু হয়। ওই আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে করা হয় একজন নির্বাচন কমিশনার। ওই নির্বাচন কমিশনার সুষ্ঠুভাবে উপহার দেন একটি কমিটি। এভাবে সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের নির্বাচন হয়ে আসছে দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে। কিন্তু গত ২০২০ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে করা হয় আহ্বায়ক কমিটি।
আহবায়ক কমিটি নির্বাচনী কার্যক্রম সম্পন্ন করার পুর্বেই একটি অবৈধ কমিটি এসে বসেন চেয়ারে। অপরপাশে প্রকৃত সাংবাদিকরা কোন প্রকার গন্ডগোলে না গিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলমান রাখতে মহামান্য আদালতে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে।
প্রেসক্লাবের ২৫ জন সদস্যের মধ্যে ১৪ জন সদস্য ক্লাবে আসা-যাওয়া বন্ধ করে দেন। ফলে প্রেসক্লাবের কার্যক্রম মুখ থুবরে পড়ে।
প্রেসক্লাবের সদস্যদের মধ্যে এ অবস্থা দেখে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উদ্যোগ নেন সমাধানের। তাই তারা দ্বন্দ্ব নিরসনে এগিয়ে এলেন। প্রথমে তাঁরা প্রেসক্লাব ভবনে সকলকে নিয়ে করলেন মতবিনিময়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জননেতা মো. মোখছেদুল মোমিন। এ সময় সাথে ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিনুল হক মহসিন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক। ওইদিন পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বাবু, আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান রাসেদ ও শহীদ পরিবারের সন্তান আওয়ামী লীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন খোকন সৈয়দপুরের বাইরে অবস্থান করায় সিদ্ধান্ত বিরত রাখা হয়। এ সময় কøাবের সকল সদস্য লিখিতভাবে মতামত দিলেন আপনারা যা করবেন আমরা তাই মেনে নেব। সদস্যদের এমন মনোভাব দেখে নেতারা সকলেই আনন্দিত হন। তারা বলেন আপনাদের মনোভাব দেখে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তারা বলেন সাংবাদিকরা জাতীর বিবেক। তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরাজমান থাকলে সমাজ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই আপনারা সবাই একসাথে থাকেন মিলেমিশে চলেন, কাজ করেন আমরা তা কামনা করি। আর আমরাও চাই সবাই মিলেমিশে এক সাথে সকলের উন্নয়ন করতে।