ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের ২৫১ সদস্যের পূনাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। এতে জেলা ছাত্র দলের নেতাদের মাঝে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ঘোষিত এই কমিটিতে রয়েছে বিবাহী, অছাত্র এবং বিদেশে চাকরি করছেন এমন নেতাদের স্থান দেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সদ্যষোষিত কমিটি হতে পদত্যাগ করেছেন জনি সাদ্দাম নামে একজন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। সোমবার (২৩ আগস্ট) রাতে তিনি এই পদত্যাগপত্র জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদকের নিকট প্রদান করেছেন বলে জনি নিশ্চিত করেছেন।
ইত:পূর্বে জনি সাদ্দাম শহর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
জেলা কমিটিতে পদপ্রত্যাশী অনেকে এরইমধ্যে বিবাহিত হয়ে গেছে। অনেকে ছাত্র নেই। বিশেষ করে যারা বিবাহিত হয়ে গেছে তাদেরকে অধিকাংশকে সহ-সভাপতি পদ দেয়া হয়েছে। আর এতেই পদবঞ্চিত কিংবা কাঙ্খিত পদ না পেয়ে অনেকের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নানা জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ২১ আগস্ট ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সবমিলিয়ে ২৫১ জনের এই কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ৫২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদে ১১৬ জন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২৯ জন, সম্পাদক ও সহ-সম্পাদক পদে ৩৭ জন এবং ১৭ জনকে সাধারণ সদস্য করা হয়।
তিন বছর আগে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই সৈয়দ আদনান হোসেন অনুকে সভাপতি, তানজিমুল হাসান কায়েসকে সাধারণ সম্পাদক এবং মোজাম্মেল হোসেন মিঠুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে তিনসদস্যবিশিষ্ট একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর হতেই জেলা কমিটিতে স্থান পেতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের তৎপরতা চলছিলো।
ঘোষিত এই কমিটি নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য রয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজের মতে অবশ্য এই কমিটি ভালোই হয়েছে। বিরোধী দলে থাকাকালে এত বড় কমিটি উপহার দেয়াটাও বড় ব্যাপার। আর যেকোন কমিটি করতে গেলে সবাইকে খুশি রাখা সম্ভব না।
তবে সমালোচনাকারীদের অভিযোগ, সিনিয়রদের টপকে সহ-সভাপতি পদে এমন পাঁচজনকে রাখা হয়েছে যাদেরকে তারাই ওয়ার্ড কমিটিতে পদ দিয়েছিলেন। এখন তাদেরই টপকে গেছো তারা। এ ছাড়া সহ-সভাপতি পদে ২০ জন বিবাহিত রয়েছেন। পুরো কমিটিতে বিবাহিতের সংখ্যা প্রায় শতাধিক।
এব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েস বলেন, কমিটিতো কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষর করে প্রকাশ করেছেন। বিবাহীত আর অছাত্রদের বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু কমিটি দীর্ঘ দিন পরে হয়েছে, সে কারণে অনেকেই পদ প্রত্যাশী ছিলেন তাদের কথা বিবেচনা করে কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।
জেলা ছাত্রদলের এই নেতা সদস্য ঘোষিত কমিটির যুগ্ম সম্পাদকের পদত্যাগের বিষয়ে বলেন, কমিটি ঘোষনা দিয়েছে কেন্দ্র। এখানে আমাদের কোন হস্থক্ষেপ ছিলো না। আর তার পদত্যাগ করতে হলে কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট জমা দিতে হবে।
ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু বলেন, বেশ আগে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে পাঠিয়ে ছিলাম অনুমোদনের জন্য। কিন্তু সেটি কেন্দ্র অনুমোদন না করে, কেন্দ্র থেকে সেটিকে যাচাই বাছাই করার জন্য ফরিদপুরে টিম আসে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রের টিম আসার সময় আমি জেলে ছিলাম। তবে বড় কমিটি অনুমোদন হয়েছে। হয়তো কেউ কাঙ্খিত পদ না পেয়ে বেজার হতে পারে। আমি আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।