ইন্দুরকানীতে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে উপজেলার পত্তাশী এলাকা থেকে পত্তাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান জোমাদ্দার শান্তি (৫৫) কে গ্রেফতার করে ইন্দুরকানী থানার পুলিশ। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার ভ্যান চালক মাহবুবুল হাওলাদারের নবম শ্রেণীতে পড়-য়া মেয়ে কাকুলীকে গত জানুয়ারী মাসে পাশর্^বর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলার কালিকাবাড়ী গ্রামের ছলেমান শেখের ছেলে জসিম উদ্দিন শেখের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের ২মাস পরে ঐ বাড়ীতে অভিযুক্ত জিল্লুর রহমান শান্তি আত্মীয়তার সুবাধে প্রায়ই নবগৃহবধুর বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। ১৯ শে এপ্রিল-২১ গৃহবধুর স্বামী বাড়িতে না থাকায় কৌশলে জিল্লুর রহমান শান্তি কিছু লোকজন নিয়ে মটর সাইকেলে করে গৃহবধুকে তুলে নিয়ে আসে। ঘটনাটি জানাজানি হলে গৃহবধুর স্বামী জসিম উদ্দিন তাৎক্ষনিক তার শশুর বাড়ীতে এসে জিল্লুর রহমান যে নিয়েছেন তা নিশ্চিত করেন। তাকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্ঠা করেন। উদ্ধারে ব্যার্থ হয়ে মোড়েলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। গৃহবধুর বাবা জিল্লুর রহমান শান্তি জোমাদ্দারের কাছে মেয়েকে চাইলে সে বিভিন্ন অযুহাত দিয়ে তাকে বিদায় করে দেয় এবং থানায় অভিযোগ না দিতে গৃহবধুর বাবাকে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে হুমকি দেয়। এলাকায় একাধীকবার মিমাংসা করার জন্য ব্যাবস্থা হলেও কোন ফয়সালা না হলে মেয়ের বাবা ১৩ আগস্ট ২১ ইং তারিখ ইন্দুরকানী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। তারই সূত্র ধরে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ মঙ্গলবার গৃহবধুকে চট্রগ্রাম থেকে উদ্ধার করেন।
মেয়ের বাবা মাহবুবুল হাওলাদার জানায়, আমার মেয়েকে অপহরণ করে পাশর্^বর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় জিল্লুর রহমান শান্তির বোন বাড়ীতে নিয়ে বিবাহের নাটক সাজিয়ে সেখান থেকে চট্রগ্রাম নিয়ে রাখেন। আমার মেয়ে জিল্লুর রহমান শান্তির হাতে ধর্ষণের স্বীকার হয় এবং মেয়েকে আটক রেখে বিভিন্ন ধরণের শারীরিক নির্যাতন চালায় সে।
ইন্দুরকানী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, মেয়ের বাবা মাহাবুবুল হাওলাদার থানায় ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা করেন। অভিযুক্ত জিল্লুর রহমান শান্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মেয়েকে মেডিকেল চেকাপের জন্য পাঠানো হয়েছে।