গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামে ১৪দিনের ব্যবধানে ফের সংঘর্ষ ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে মহিলাসহ ৩জন আহত, ৮টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। পন্ড হয়ে গেছে কন্যার বাড়ির গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান।
বুধবার সকাল ১১টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তোজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানাগেছে, এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বদিউজ্জামান বিশ^াসের সাথে মামুনুর রশীদ সিকদারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে বুধবার সকালে বদিউজ্জামান বিশ^াসের লোকজন মামুনুর রশীদ সিকদার গ্রুপের রিপন বিশ^াস (৩৩) কে মারধর করে। এ ঘটনার পরে মামুন বিশ^াসের লোকজন একত্র হয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বদিউজ্জামান বিশ^াস গ্রুপের কালাম বিশ^াস, রব বিশ^াস, দিদার বিশ^াস, রসুল বিশ^াস, ফেরদাউস বিশ^াস, বাচ্চু বিশ^াস, শামিম বিশ^াস ও ফকা বিশ^াসের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
এ সময় বাঁধা দিতে গিয়ে লাভলী বেগম(৪৫), নাইম বিশ^াস (২৫) গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এর আগে চলতি মাসের ১১ তারিখে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০জন আহত ও ৭টি ঘর বাড়ি ভাংচুর করা হয়।
বদিউজ্জামান বিশ^াস বলেন, মামুন বিশ^াসের লোকজন সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে আমার আত্মীয় স্বজনের ৮টি বসতঘর ভাংচুর করে লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে তারা নিরহ লোকজনদেরকে মারপিট করে। একটি বিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান পন্ড করে দিয়েছে। ভয়ে কন্যার পরিবার উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামে মামা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। গত কয়েকদিন আগেও মামুন সিকদার তার লোকজন নিয়ে আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে।
এ বিষয়ে মামুনুর রশীদ সিকদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ভাংচুর ও লুটপাটের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার কোন লোকজন বদিউজ্জামান বিশ^াসের লোকজনকে মারধর করেনি।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।