অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহর সিডনিতে দুই মাস ধরে লকডাউন চললেও দৈনিক কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে। সিডনি যে রাজ্যের রাজধানী সেই নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) বুধবার ৯১৯ জন নতুন রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছে। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বাড়তে থাকা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এদিন অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় হাজার জন রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিডনিতে বাড়তে থাকা রোগীর কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চাপে পড়েছে। হাসপাতালে রোগীর ¯্রােত থামাতে টিকা দেওয়ার গতি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এনএসডব্লিউতে মোট ১১৩ জন রোগী নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন, তাদের মধ্যে ৯৮ জন টিকা নেননি। রাজ্যটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কেরি চ্যান্ট বলেন, “এটিই তুলে ধরছে যে টিকা প্রধান বিষয়। টিকার আওতা বাড়াতে হবে আমাদের।” করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলার চেষ্টায় অস্ট্রেলিয়া তাদের আড়াই কোটি জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশিকে লকডাউনে রেখেছে। দেশটির বৃহত্তম শহর সিডনি ও মেলবোর্নও লকডাউনে আছে। টিকাদান কর্মসূচি প্রথমে ঢিমাতালে শুরু করলেও এখন গতি বাড়াচ্ছে দেশটি। ইতোমধ্যেই ১৬ বছরের বেশি বয়সী প্রায় ৩১ শতাংশ লোককে টিকার দুটি ডোজই দেওয়া হয়েছে, অন্তত এক ডোজ পাওয়া লোকের সংখ্যা ৫৪ শতাংশ। ডেল্টার সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাব সত্ত্বেও অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অস্ট্রেলিয়ায় এখনও রোগীর সংখ্যা কম। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৬০০ জনের কিছু বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে আর এদের মধ্যে ৯৮৬ জন মারা গেছেন।