পিরোজপুরের নাজিরপুরে পৃথক দু’টি বিদ্যালয়ের ১৯টি মূল্যবান গাছ কেটে নেয়া সহ বিদ্যালয় ভবনের লোহার মালামাল নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি। পৃথক এ অভিযোগ উপজেলা কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের ৩০নং বৈঠাকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিসহ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবং উপজেলার দেউলবাড়ি দোবরা ইউনিয়নের ১৭৯ নং উত্তর পাকুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, উপজেলার ৩০নং বৈঠাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে থাকা গাছ ও পুরাতন ভবনের লোহার মালামাল বিক্রির অভিযোগে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক মো. নান্না মিয়া এবং ১৭৯ নং উত্তর পাকুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারী গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক মো. রেজাউল কবির। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৩০নং বৈঠাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং সভাপতির জোগসাজসে সম্প্রতি বিদ্যালয়ের মেহগিনি, চাম্বল ও ফলজ সহ বিভিন্ন জাতের ১৫টি গাছ কেটে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওই বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ বরাদ্দ হলে কর্তৃপক্ষের কোন ধরনের অনুমতি ছাড়া সেখানে থাকা পুরাতন ভবন ভেঙ্গে তার লোহার বেঞ্চ, টিনের ছাউনি, এ্যাঙ্গেল সহ প্রায় দেড় হাজার কেজি লোহার মালামাল বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল কবির ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেনিফা আফরোজ ওই অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবী করেন। তারা জানান, বিদ্যালয়ের মালামাল স্তুপ করে রাখা হয়েছে। আর গাছ কাটা হয়েছে আগে। তবে সরেজমিনে বিদ্যালয়ের ভাঙ্গা অংশের পুরো মালামালের কিছু অংশ সেখানে দেখা গেছে। উপজেলার উত্তর পাকুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তারের সহযোগীতায় ওই বিদ্যালয়ের ৪টি মেহগিনি গাছ কেটে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষকের স্বামী মো. ইব্রাহিম হাওলাদার। তবে অভিযুক্ত ইব্রাহিম হাওলাদার জানান, ওই গাছ তার নিজের জমির। বিষয়টি দেখতে স্থানীয় সাংবাদিকরা সেখানে গিয়েছিলেন। তারা তা দেখে মিট করে দেয়ার কথা বলেছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার জানান, বৈঠাকাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ ও মালামাল আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত চলছে। তবে পাকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায় নি।