‘করবো মোরা মাছের চাষ, থাকবো সুখে বারোমাস’-এমনই প্রতিপাদ্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১২ বিঘা জমিতে মাছ চাষ করেছিলেন চাষি রবিউল ইসলাম ডালিম। ছোট্ট আয়তনের এ মাছের ঘেরে ছেড়েছিলেন রুই, কাতল, মৃগেল, তেলাপিয়া ও চিংড়ি মাছের পোনা। বড় যতেœ পালন করেছিলেন মাছগুলো। মাছগুলোর খাবার দেওয়ার সময় লাফালাফি করতো। মাছের লাফ দেখে রবিউল ইসলামের মন ভরে যেতো। কিন্তু তার সেই স্বপ্নে মাছের ঘেরে বিষ ঢেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এখন চাষি রবিউল ইসলাম সর্বশান্ত। মরে গেছে ১০ লক্ষাধিক টাকার মাছ।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ী ইউনিয়নের নেবাখালী গ্রামে রবিউল ইসলামের মাছের ঘের। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) ভোরে কে বা কারা তার ঘেরে বিষ দেওয়ায় মরে গেছে চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
নেবাখালী গ্রামের আলাউদ্দীন মাস্টারের ছেলে ঘেরমালিক রবিউল ইসলাম ডালিম বলেন, ১২ বিঘা জমিতে মাছ চাষ করেছিলাম। রুই, কাতল, মৃগেল, তেলাপিয়া ও চিংড়ি মাছ ছিল ঘেরে। মাছগুলো ছিল আমার সম্পদ। বুধবার রাতে ঘেরের বাসায় ছিলাম। রাতে ঘেরের বাঁধে সবজির বাগানে শব্দ শোনার কয়েক ঘণ্টা পর দেখি ঘেরের মাছগুলো ছটফট করছে। ঘন্টাখানেক পরেই মাছ মরতে শুরু করে।
ডালিমের প্রতিবেশীরা বলেন, বিষ দিয়ে মাছ মেরে দিয়ে ডালিমের ৯ থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। আগেও তার ঘেরে বিষ দিয়ে তার অপূরণীয় ক্ষতি করেছিল একটি চক্র। দেনার দায়ে সে এখন পাগলপ্রায়।
আগড়দাড়ী ইউপি সদস্য শাহাদাৎ হোসেন বলেন, দুর্বৃত্তের দেওয়া বিষে কয়েক ঘন্টার মধ্যে পথে বসলো মাছ চাষি রবিউল ইসলাম।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।