লক্ষ্মীপুরে তাহের হত্যা মামলার এজহারভুক্ত ২০ আসামি সবাকেই খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। নিহত তাহের সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাস বাহিনীর প্রধান মৃত নুর হোসেন শামীমের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন। রায়ের সময় আদালতে সাত আসামি উপস্থিত ছিলেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন লক্ষ্মীপুর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দীন। তিনি জানান, ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর দিবাগত রাতে তাহেরকে শামীমের দত্তপাড়ার শ্রীরামপুর গ্রামের বাড়িতে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যা মামলায় পুলিশি তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি।রাতের অন্ধকারে হত্যাকান্ড ঘটেছে। এতে সাক্ষীরা অপরাধীদের দেখেনি তা সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণে এজাহারে উল্লিখিত আসামিরা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য বিজ্ঞ বিচারক তাদেরকে খালাস প্রদান করেছেন।
ওই সময় ঘটনার পরদিন তাহেরের পিতা মো.ফজলুল করিম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও অচেনা ১০ জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করা হয়। ওই মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন বাহিনীর প্রধান শামীম। ২০১৩ সালের ১৫ মে শামীম পার্শ্ববর্তী দিঘলী ইউনিয়নের বাবুল বাহিনীর সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন। আসামিদের মধ্যে দুইজন বিএনপির নেতা এবং বাকিরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ছিলেন।
আদালত ও এজাহার সূত্রে জানাযায়, ওসময়ের তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী আলাউদ্দিন এজাহারভুক্ত আসামিদের নির্দোষ উপস্থাপন করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। এতে বাদী ফজলুল করিম সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেয়। তদন্ত শেষে তখন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই বসুদেব শীল এজাহারভুক্ত ১৭ আসামি ও আরও তিন আসামির নাম উল্লেখ করে ২০১৫ সালের ২২ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর ভিত্তিতে আদালত দীর্ঘ শুনানি ও ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
সাক্ষীদের সাক্ষ্য অনুযায়ী আসামিরা নির্দোষ প্রমাণিত হন। আদালতের বিচারক আজ তাদের খালাস প্রদান করেন।