আফগানিস্তান পুরোদস্তুর তালেবানের দখলে চলে যায় গত ১৫ আগস্ট। এরপর থেকে দেশটির অর্থনীতির ভিত নড়বড়ে হয়ে পড়ে। একে একে বেশ কয়েকটি দেশ সীমান্ত বন্ধ রাখায় সব ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন আফগান ক্ষুদ্র, মাঝারি ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ভবিষ্যতে দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, ব্যবসা বাণিজ্যের কী হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। খবর আল জাজিরার। রাজধানী কাবুলের চিত্র পুরোপুরি পাল্টে গেছে গত কয়েক দিনের মধ্যে। তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর হাজার হাজার মানুষ দেশত্যাগ করতে ইচ্ছুক। অনেকেই এখনও বিমানবন্দরে ভিড় করছেন দেশছাড়ার আশায়। ফলে বাজারে লোকজনের আনাগোনা নেই বললেই চলে। ভয় আর আতঙ্কে অনেকে এড়িয়ে চলেন বাজারঘাট। ক্রেতাশূন্য প্রায় বেশির ভাগ দোকানপাট। আফগানিস্তান তালেবানের দখলে যাওয়ায় অর্থনীতিতে একের পর এক খারাপ খবর আসছে দেশটির। বিশেষ করে অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাংক, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র বন্ধ করেছে দেশটির রিজার্ভ অর্থ। ফলে নতুন সরকার গঠন হলেও অর্থ সহায়তা কতটুকু আসবে তা অনেকটাই নির্ভর করছে তালেবানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ওপর। দেশটির অধিকাংশ ব্যাংক বন্ধ, এটিএম বুথে টাকা নেই, খালি পড়ে আছে, বেশিরভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ, পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসও বন্ধ। বন্ধ রয়েছে বিয়ে বা অন্য কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানও। ফলে সবধরনের বেচাবিক্রি প্রায় বন্ধ। কার্যত অচল হয়ে পড়েছে কাবুলের অর্থনীতি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, যারা শুধু ছোট্ট দোকান করে সংসার চালান তারা এখন পথে বসেছেন। ভবিষ্যত কোন দিকে যাচ্ছে তাও অনিশ্চিত। ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ বলছিলেন, রাতারাতিই কাবুল তালেবানের দখলে যাওয়ায় তিনি গভীর সংকটে পড়েছেন। তিনি বলেন কাবুলের মানুষের স্বাভাবিক জীবন পুরোটাই এত দ্রুত বদলে গেছে যে বলার আর কিছু নেই।