পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থাপিত হয় ১৯৯৫ সালে। পেরিয়ে গেছে ২৭ বছর। হাসপাতালটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে হাসপাতালটি। উপজেলার ১ টি পৌরসভা এবং ৬ টি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল এটি। এ হাসপাতালটির এনালগ ও ডিজিটাল দুটি এক্স-রে যন্ত্র দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। নেই এক্স-রে যন্ত্র চালানোর জন্য একজন রেডিওগ্রাফার। ফলে এক্স-রে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটি স্থাপনের ৫ বছরের মাথায় ২০০০ সালের ১৪ অক্টোবর একটি এনালগ এক্স-রে যন্ত্র চালু করা হয়। এরপর ২০০৩ সালের ১৯ মে এক্স-রে যন্ত্রটি বিকল হয়ে যায়। পরে টেকনিশিয়ানরা এক্স-রে যন্ত্রটি মেরামতে ব্যর্থ হলে, দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর বন্ধ থাকে এক্স-রে সেবা। ২০১৫ সালে নভেম্বর মাসে আরেকটি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র বরাদ্দ পায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু চালুর দুই মাসের মাথায় সেটিও নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। হাসপাতালের রেডিওগ্রাফার মোশাররফ হোসেনও বদলি হয়ে চলে গেছেন অন্যত্র। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালটির এক্স-রে যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় সেবা পাচ্ছে না এলাকাবাসি। তাঁরা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে শহরের বেসরকারি বিভিন্ন রোগনির্ণয় কেন্দ্র থেকে এক্স-রে করাচ্ছেন।
উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কলেজছাত্র সেলিম হোসেন জানান, কয়েকদিন আগে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে তাঁর বাম হাতের পাতা ভেঙ্গে যায়। চিকিৎসা নিতে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু হাসপাতালটির এক্স-রে যন্ত্রটি বিকল থাকায় ৫০০ টাকা দিয়ে বাইরে থেকে এক্স-রে করান তিনি।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম বলেন, রেডিওগ্রাফার না থাকায় এক্স-রে যন্ত্রটি চালু করা যাচ্ছে না। একজন রেডিওগ্রাফার পেলে এক্স-রে টি মেরামত করে চালু করা যেত।