বগুড়ায় বিভিন্ন স্থানে নামে বেনামে ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠেছে সুদ ও দাদন ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম। সুদ ও দাদন ব্যবসা সম্পর্কে জানে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। সমাজে মহামারী আকারে পৌঁছে গেছে এই ব্যবসার আগ্রাসী রুপ। একটা সময় সমাজের ধনী ব্যক্তিরা এই ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলেও এখন এই ব্যবসার ঝুঁকে পড়েছে সমাজের নানান শ্রেনীর মানুষ। রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার জন্য তারা চড়া সুদে ঋণ দিচ্ছে অভাবী ও নিম্নবিত্ত মানুষের মাঝে।
(২৭ আগষ্ট) শুক্রবার বগুড়া জেলার সদরসহ গাবতলী, সারিয়াকান্দি,ধনুট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, দাদন ব্যবসায়ীরা সুদের টাকা গ্রহীতাদের দেওয়ার সময় তাদের কাছ থেকে সরকারি স্ট্যাম্প, সাদা কাগজ, বিভিন্ন বন্ডে সই নেয় এতেই খ্যান্ত না হয়ে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে নিয়ে ফাঁকা চেকের পাতায় সই নিয়ে এইসব দাদন ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে জিম্মা হিসাবে রেখে দেয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুদের টাকা দিতে না পারলে গ্রহীতাদের উপর চালানো হয় মানসিক চাপ কোন কোন সময় অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও শারীরিক নির্যাতন। গ্রহীতা এসব অত্যাচার নির্যাতন নিরবে সহ্য করে কারণ দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে তারা অনেক কিছু জিম্মা দিয়ে এই টাকা গুলো নিয়ে থাকে। সুদারুদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ তুলছেন এইসব নিরীহ মানুষ। সেই টাকা দিয়ে সুদারুদের সুদ পরিশোধ করছেন। এরপর শুরু হয় সুদ থেকে কিস্তি দেওয়া আবার কিস্তির টাকা দিয়ে সুদের টাকা পরিশোধ করার সাপলুডু খেলা এ খেলায় সর্বশেষে নিঃস্ব হয় অনেকেই। সুদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে সুদারুরা তৈরি করেছে গ্যাং। সুদারুরা সংঘবদ্ধ হয়ে চালিয়ে যাচ্ছে এ ব্যবসা। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ভাড়াও করে দেওয়া হয় হুমকি। সুদ প্রথার ওপর সব ধর্মীয় আইনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানতে নারাজ সুদারুরা। সুদখোরদের কর্মকা- বন্ধে তাই প্রশাসনও যেন অসহায়।
এই বিষয়ে সমাজের নানান শ্রেনীর মানুষের সাথে সরাসরি কথা বললে তারা এই দাদন ব্যবসায় বন্ধ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।