জেলার গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরধরে দুই নারীসহ পাঁচজনকে আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ায় অবশেষে আদালতে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আহত বাবুল জোমাদ্দার গত ২৫ আগস্ট বরিশালের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নলচিড়া গ্রামের মনির সিকদার, নাজিরপুর শংকরপাশা গ্রামের আল ইসলাম আকন ও রুহুল শরীফসহ ১১ জনের নামোল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহারভুক্ত করার জন্য গৌরনদী মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। ২২ আগস্ট বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় আরও একটি মামলা দায়ের করেন বাবুল জোমাদ্দার। ওই মামলায় বিবাদী করা হয় মনির সিকদার ও তার মা সাজু বিবিকে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শান্তি শৃংখলা রক্ষা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গৌরনদী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
এজাহারে জানা গেছে, নলচিড়া মৌজার এসএ ২১৮নং খতিয়ানের ১২০/১২১/১০৭ দাগের ৩২ শতক জমির ক্রয়সূত্রে মালিক বাদী বাবুল ও তার অন্যান্য ওয়ারিশরা। ১৯৫৭ সালে আসামীদের ওয়ারিশ গনের কাছ থকে বাদীর বাবা ওয়াজেদ আলী জোমাদ্দার ওই জমি ক্রয় করেন। সেই থেকে বাদী পক্ষ জমি ভোগদখল করে আসছেন।
জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে আসামি মনির সিকদার অন্যান্য আসামীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওই জমি দখল করতে আসে। তারা জমির চারপাশে রোপিত রেন্ট্রি, মেহগনি, চাম্বলসহ নানা জাতের ফলজ গাছ কেটে ফেলে। এরপর তারা জমি চাষ করে ধানের বীজ রোপনের চেষ্টা করে। বাঁধা দিতে এসে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে বাবুল জোমাদ্দার (৪৫), তার বৃদ্ধা মাতা রাহাতুন নেছা (৬৫), বোন মঞ্জু বেগম (৪০), স্ত্রী শিল্পী খানম (৩২), ভাগ্নে মিলন (২২) আহত হন। আসামিরা রাহাতুন নেছাকে কুপিয়ে ও মঞ্জু বেগমসহ অন্যান্যের পিটিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে। এদের মধ্যে দুইজনকে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপরে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ নিয়ে কেউ থানায় আসেনি। শুনেছি বাবুল জোমাদ্দার আদালতে মামলা করেছেন। আদালতের নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।